জুলেখা ফিরলো নিজ সংসারে

শিমুল বিশ্বাস,প্রদায়ক, মেহেরপুরঃ
আমঝুপি গ্রামের মোঃ আব্দুল হামিদের মেয়ে মোছাঃ জুলেখা খাতুনের পারিবারিক ভাবে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর গ্রামের মৃত-ইমাজউদ্দীন এর ছেলে মোঃ মখলেছুর রহমানের সাথে বিবাহ হয়। জুলেখা খাতুনের গায়ের রং কালো হওয়ায় স্বামী মখলেছ অপছন্দ করে মানুষিক নির্যাতন করতে থাকে স্বামীর শত নির্যাতন সহ্য করেও ভাগ্যকে মেনে নিয়ে শশুর বাড়ীতে দুই বেলা দুই মুঠো অন্ন খেয়ে দিনাতিপাত করছিলো। মখলেছুর পেশায় একজন ট্রাকড্রাইভার। স্ত্রীকে অপছন্দের কারনে বিদেশে যাওয়ার জন্য মন স্থীর করে এমতাঅস্থায় জুলেখার নিকট বাবার বাড়ী হতে ২লক্ষ টাকা আনার প্রস্তাব দেয়। নিরুপায় জুলেখা দাবীকৃত টাকা বাবার বাড়ীতে চাইতে গেলে জুলেখার পিতা মাতা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এদিকে মখলেছুর মোবাইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয় টাকা না আনতে পারলে সংসারে ফিরিয়ে নিবে না, একথা শোনার পর জুলেখার পিতা-মাতার মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়ে। কি করবে কোথায় যাবে এতগুলো টাকা কিভাবে যোগাড় করবে এই নিয়ে দিশেহারা হয়ে পাগলের মত রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর একপর্যায়ে সালমা খাতুনের সাথে মতবিনিময় হয়। মতবিনিময়ের সময় সালমা খাতুন বৃদ্ধ জুলেখার পিতা আব্দুল হামিদকে মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউকের সালিশ ইউনিটের নিয়মনীতি বিষয়ে খুলে বললে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে নোটিশে ও কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে বিবাদী পক্ষকে সালিশে আহবান জানিয়ে গত কাল রবিবার উভয় পক্ষের আলোচনার একপর্যায়ে স্বামী মখলেছ তার নির্যাতনের কথা স্বীকার করেন্ এবং ভবিষ্যতে কোনোপ্রকার যৌতুক দাবী করে  নির্যাতন করবে না মর্মে অঙ্গিকারবদ্ধ হয়ে ঘরসংসারে ফিরিয়ে নিতে চাইলে জুলেখা খাতুনও স্বামীর সংসারে ফিরে যেতে চাইলে মউক অফিস শান্তি পূর্ন ভাবে আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে ঘরসংসারে ফিরিয়ে দেয়।  অতএব মখলেছ ও জুলেখা খাতুন তাদের সংসার ফিরে পাওয়ায়  সালমার প্রতি কৃতজ্ঞতাসহ ধন্যবাদ জানান। উক্ত সালিশে উপস্থিত ছিল প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাসিরা আখতার ও প্রোগ্রাম অফিসার আবুল কালাম।