মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মসজিদ কেন্দ্রিক বিরোধে হামলাকারীদের হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রী গুরতর আহত।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ মার্চ রাতে উপজেলার হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের চরহোগলাবুনিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় ১৭ মার্চ গৃহবধুর স্বামী আসাদ তালুকদারের বড়ভাই ফাইজুল কবির বাদী হয়ে মোড়েলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দয়ের করেন।
দায়েরকৃত মামলাসূত্রে জানা গেছে প্রতিপক্ষ ওই এলাকার ইসমাইল তালুকদারের পুত্র মোস্তফা তালুকদার, তার পুত্র রাসেল তালুকদার ভাই তরিকুল ইসলাম মন্টু ও ভাইপো নাঈম তালুকদারসহ অজ্ঞতনামা ৪/৫ জনে সঙ্গবদ্ধ একটি দল রাত্র ১১টার দিকে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রসহ তোতা তালুকদারের বাড়ীতে ঢুকে তার পুত্র আসাদ তালুকদারের উপর হামলা করে। এ সময় আসাদ তালুকদার হামলাকারীদের হাত থেকে দৌরে পালিয়ে রক্ষা পেলেও রক্ষা পায়নি তার স্ত্রী লিপি বেগম। ক্ষিপ্ত হামলাকারীরা এ সময় আসাদের স্ত্রী লিলি বেগমকে উপর্যপরী কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে দ্রæত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা গৃহবধু লিপি বেগমকে রক্তাক্ত ও মূমুর্ষ অবস্থায় মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমল্পেক্সে নিয়ে যায়।
হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার গৃহবধুর গলায় কোপের আঘাতসহ গুরতরতা দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। আহত গৃহবধুকে এ্যাম্বুলেন্স যোগে খুলনা মেডিকেলে নেওয়ার পর সেখানেও কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর দ্রুত তাকে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বর্তমানে সে ঢামেক হাসপাতালে চিকিসাধীন রয়েছে।হামলাকারীরা বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেস্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে মামলার বাদি ফায়জুল তালুকদার জানান।
এ বিষয় জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর মলয় কুমার চক্রবর্তী জানান পুলিশ ওই দিনই এ মামলার প্রধান আসামী মোস্তফা তালুকদারকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। অপর আসামীরা পালাতক রয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকরামুজ্জামান হাওলাদার জানান বিষয়টি তিনি ওই রাতেই শুনেছেন অসুস্থ্যতার কারনে ওই এলাকায় যেতে পারেননি জানিয়ে গৃহবধুকে কোপানোর ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক বলে জানান।