শতভাগ সফলতা কখনো সম্ভব না: সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শতভাগ সফলতা কখনো সম্ভব না জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কেউ বলেছেন এটা যদি ৫০ শতাংশ বা ৬০ শতাংশ গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে এটাও একটা বড় সফলতা।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। সংলাপে ৩৭ জন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সংলাপে আমন্ত্রণ জানালেও মাত্র ১৯ জন সংলাপে অংশ নেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দেশের নির্বাচন নিয়ে বিবর্তনটা ইতিবাচক হয়নি। সহিংসতা ব্যাপকতা লাভ করে। এটা হলে পরে ভোটাররা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ভোট দিতে পারে না। আপনারাও বলেছেন সহিংসতা প্রতিরোধ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এটা সত্য কথা আমাদের সাহস থাকতে হবে। সাহসের পেছনে থাকতে হবে সততা। আমাদের হারানোর কিছু নাই। পাওয়ার কিছুও নাই। জীবনের শেষ প্রান্তে আমরা ইতিবাচক যদি কিছু করতে পারি, আপনাদের সাজেশনের আলোকে নির্বাচনটা যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায় সবার অংশগ্রহণে, সেটা একটা সফলতা হতে পারে।

বিগত নির্বাচনে বেশকিছু কারণে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, কেউ বলছে ভোট দিচ্ছে না। তবে নারায়ণগঞ্জের ইলেকশন খুব সুন্দর হয়েছে। ইভিএমের মাধ্যমে এটা একটা ভালো দিক বলে মনে করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএমের) বিপক্ষে অনেকেই বলেছেন জানিয়ে সিইসি বলেন, এটার মধ্যে কোনো অসুবিধা আছে কি না, এটা ব্যবহারে অনেকেই অভ্যস্ত নয়। মেশিনের মাধ্যমে কোনো ডিজিটাল কারচুপি হয় কি না, পৃথিবীর অনেক দেশ ইভিএম বাতিল করে দিয়েছে, কেন করলো সেটা গবেষণা করা উচিত।

ইভিএমে রিকাউন্টিং প্রবলেম আছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যদি কোনোরকম কারচুপি হয়ে থাকে, তাহলে রিকাউন্টিং করা যাবে কি না, এটার কোনো ব্যবস্থা আছে কি না, এটা আমাদের বুঝতে হবে। আমাদের টেকনিক্যাল কমিটির মিটিং করে একটা ধারণা নিতে হবে। নির্বাচনে যেন ধর্মের ব্যবহার না হয়, সেটাও আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখবো।

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের প্রসঙ্গ টেনে হাবিবুল আউয়াল বলেন, এটা একটা কষ্টসাধ্য কাজ। আমাদের চেষ্টা করতে হবে। আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই আমরা চেষ্টা করবো।

ভোটারদের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ভোটার সেন্টারে যেতে পারবে কি না? ভোটার তার সেন্টার থেকে বের হয়ে নিরাপদ কি না? এটা ওসি ডিসিদের মাধ্যমে ওই জায়গাটা দেখতে পারলে ভালো হয়।