বাঁশখালীতে ফের আগুনে পুড়ল ৬ কামারের দোকানঃ ক্ষয়ক্ষতি ১০ লক্ষাধিক টাকা

এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় থামছেইনা আগুনের ভয়াবহতা। একের পর এক আগুনের লেলিহান শিখায় ক্ষতি হচ্ছে প্রচুর জানমালের। ক্ষতিগ্রস্থদের আর্তনাদে ক্রমাগত ভারী হচ্ছে আকাশ-বাতাস। এবার ভয়াবহ এক অগ্নিকান্ডে উপজেলার রামদাস মুন্সির হাট এলাকায় ৬টি কামারের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গভীর রাতের এ অগ্নিকান্ডে সৌভাগ্যক্রমে প্রানহানীর ঘটনা না ঘটলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার।
১৮ ফেব্রুয়ারি’২২ ইং শুক্রবার রাত ২টা ৪৫ মিনিটে বাঁশখালীর প্রধান সড়কস্থ কালীপুর ইউনিয়নের রামদাস মুন্সির হাট আশ্রম গেইটের উত্তর পাশে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শি সূত্রে জানা যায়, বাজারে অবস্থিত একটি কামারের দোকানের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে প্রদীপ দাশ, বাবলু দাশ, উজ্জ্বল দাশ, জিসু কর্মকার, সুকন্দ দাশ ও তপন দাশের কামারের দোকানে। এতে তাদের দোকানের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দেড় ঘণ্টা পর রাত ৪টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এসময় দোকানে কেউ ছিলনা বলে জানা যায়। সকালে পুড়ে যাওয়া স্থান পরিদর্শন করেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী। পরিদর্শন কালে তিনি বলেন,
অগ্নিকান্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের  তালিকা তৈরী করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হবে। জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা আসার সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে পৌঁছে দেয়া হবে।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও সিভিল ডিফেন্স ইনচার্জ মো. আজাদুল হক বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত আমাদের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। অগ্নিকান্ডের এ ঘটনায় ১০ লক্ষাধিক ক্ষয়-ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।