ভূমিমন্ত্রীর এলাকায় সাধারণ রোগীরা ৬ মাস ধরে অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে বঞ্চিত 

মোঃ জাবেদুল ইসলাম,আনোয়ারাঃ
চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা অনিয়মের চলছে। যেন দেখার কেউ নেই। কবে মুক্তি পাবে ভুক্তভোগী রোগীরা, প্রশ্ন আনোয়ারাবাসীর।
বুধবার (১৬ ফেব্রয়ারি) রাত ৮ টায় শ্বাসকষ্ট নিয়ে ‘ দৈনিক আমার সময়’ এবং ‘দৈনিক এই আমার দেশ’ আনোয়ারা উপজেলা সংবাদদাতা সাংবাদিক মোঃ জাবেদুল ইসলামের মাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগে অক্সিজেন সেবা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম রেফার করা হলেও পাওয়া যাইনি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা। শেষে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স যোগে ২হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে চট্টগ্রাম কসমোপলিটন হসপিটাল (প্রাঃ) লিঃ নেওয়া হয়।
আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুইটি এ্যাম্বুলেন্স থেকেও রোগীরা কেন সেবা পাচ্ছে না, তা জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক কর্মকর্তা চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তারা বলেন, আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুইটি সরকারী এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। তারমধ্যে একটি নতুন আরেকটি পুরাতন। একজন চালক রয়েছেন। এই হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্সের চালক কারও কোন কথা শোনে না। নিজের ইচ্ছেমতো চলেন। কেউ যদি তাকে জরুরী রোগী নিতে প্রেসার সৃষ্টি করে তখন চালক কর্মকর্তাদের বিভিন্ন রকমের অসঙ্গতিপূর্ণ কথাবার্তা বলে। বর্তমান চালক অতীতে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছিল। তার বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তাকে এই হাসপাতাল থেকে পটিয়া উপজেলায় বদলি করা হয়। বর্তমানে তিনি আবারও এই হাসপাতালে বদলি হয়ে এসে নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা করছেন না। অথচ অতীতে প্রতি মাসে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রেফার করা ১০৫ জন পর্যন্ত জরুরী রোগীর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে নেয়ার রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু বর্তমান চালক আগস্টের ৫ তারিখ যোগদান করে সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ পর্যন্ত মাত্র ৩৪ জন রোগী বহন করেছেন। সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ থেকে কোন রোগী পরিবহ্ন করছে না বর্তমান চালক। ফলে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জাতীয় এবং চট্টগ্রামের স্থানীয় একাধিক পত্রিকা সংবাদ প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নাড়েনি।
কামরুল ইসলাম নামে এক রোগী জানান, অসুস্থতার কারনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে আরো বেশি অসুস্থত হয়ে গেছি। রোগীদের সাথে ওয়ার্ড বয়ের ব্যবহারও প্রকাশযোগ্য নয়। শীতের রাতে রোগীদের নোংরা ছেঁড়া মশারি, নেই শীত নিবারণ করার মতো উন্নত কম্বল।
ভুক্তভোগী রোগীদের দাবি একটি চক্র ভূমিমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান,গত বছর এবং এই বছর নতুন করে ১হাজার পিস কম্বল হাসপাতালের নিজস্ব তহবিল থেকে কনা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন সংগঠন থেকে শীতবস্ত্র দেওয়া হলেও শীতবস্ত্রগুলো আলমারিতে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
এই বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সৈয়দ মোঃ রিদওয়ানুল হক বলেন, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের কোন ড্রাইভার নেই। রোগীদের ছেড়া মশারি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি আসছি মাত্র কিছুদিন হচ্ছে এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না।বিস্তারিত জেনে আপনাকে জানাবো।