দেশব্যাপী নানান কর্মসূচিতে পালিত হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী

দেশব্যাপী নানান কর্মসূচিতে পালিত হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী

নড়াইলে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের কর্মসুচির সূচনা ,জাতীয় পতাকা উত্তোলন

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইলে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস পালিত। বৃহস্পতিবার দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ,জেলা আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসুচির সূচনা , জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, বধ্য ভ’মি, গণকবর ,বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পমাল্য অর্পন, গণকবর জিয়ারত ও দোয়া, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহম্মদ ষ্টেডিয়ামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সমন্বয়ে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াচ ও ডিস্প্লে।

সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভে, জেলা জজ আদালতের পার্শ্বে বধ্য ভ’মি, পানি উন্নয়ন বোর্ডে অবস্থিত গণকবর, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও পুরাতন বাস টার্মিনালে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পমাল্য অর্পন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়, পিপিএম (বার), পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন(সার্বিক) মোঃ ফকরুল
হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম,জেলা আওয়ামীলীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা বিএনপি, নড়াইল পৌরসভা,নড়াইল, খাদ্য বিভাগ,সরকারি বিভিন্ন দপ্তরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান।

গাংনীতে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন

গাংনী(মেহেরপুর)প্রতিনিধিঃ
মেহেরপুরের গাংনীতে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও ১৬-ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর বেলায় ৫০বার তোপ ধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় বিজয় দিবস উদযাপন কার্যক্রম।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, প্রশাসনের বিজয় প্যারেড, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কুচকাওয়াজ এবং পুরুস্কার বিতরনীর মাধ্যমে শেষ হয় আনুষ্ঠানিক পর্ব।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি খানমের সভাপতিত্বে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত উপজেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক, পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী, সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, গাংনী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড. জুয়েল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন।

সিরাজগঞ্জে মহান বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন পুলিশ সুপার। 

আব্দুর রহমান,সিরাজগঞ্জ থেকেঃ বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস-২০২১ উপলক্ষে প্রথম প্রহরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব হাসিবুল আলম, বিপিএম মহোদয়।এ সময় জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন, ও জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহমেদ পুষ্পস্তবক অর্পণের পাশাপাশি স্থানীয় রাজনীতিবিদ, সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ ছাড়া দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন

সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন

খোরশেদ আলম,সাভার (ঢাকা )প্রতিনিধি :

আজ ১৬ ডিসেম্বর। বাংলার বিজয়ের দিন৷ আজ থেকে ৫০ বছর আগে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালী পেয়েছিলো মহান বিজয়। সেই জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসেছেন সর্বস্তরের মানুষ।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয়ের প্রথম প্রহরে বীর শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর সকাল ৭ টা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন দলে দলে স্মৃতিসৌধের শহিদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

দেখা গেছে, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারস্থ জামালপুর ঢাকা জেলা সমিতির সকল নেতৃবৃন্দ ও আমিন মডেলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আমিন হোসেন ও সমিতির নেতাকর্মীরা। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। বিভিন্ন সংগঠন তাদের ব্যনার হাতে নিয়ে ও বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।

দেশব্যাপী নানান কর্মসূচিতে পালিত হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী

মহান বিজয় দিবস উদযাপন ২০২১

ধনবাড়ী প্রতিনিধি এ এন আশিক লোমান
সভাপতি সামিউল ইসলাম নির্বাহী অফিসার ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদ প্রধান অতিথি আলহাজ হারুনুর রশীদ হীরা চেয়ারম্যান ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদ ও বিশেষ অতিথি বৃদ্ধ উক্ত অনুষ্ঠানে কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, মহিলাদের বলিশ খেলা, মহিলাদের বল নিক্ষেপ খেলা ও ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়।

নানা আয়োজনে মুখরিত ধনবাড়ী উপজেলা।১৯৭১ সালে এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের কাছে আত্মসর্মাপণ করে এবং এই দিনেই আমারা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি বাংলার বুকে উত্তোলিত হয় লাল সবুজের পতাকা।বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানরা নিজের জীবন বাজি রেখে দেশকে বাঁচাতে যুদ্ধ করেছে।

মহান বিজয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি

মহান বিজয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি

আজ ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টায় ‘মহান বিজয় দিবস’ উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য।

শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক ও পিডিপি’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ খান, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এম—এল) এর সভাপতি হারুন চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সামছুল আলম, সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

পটুয়াখালী দুমকীতে পবিপ্রবিতে মহান বিজয় দিবস পালিত

মোঃ তুহিন শরীফ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়বাংলার পাদদেশে ও বঙ্গবন্ধু’র আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, বিভিন্ন আবাসিক হলের প্রভোস্টবৃন্দ, রিসার্চ এন্ড ট্রের্নিং সেন্টারের পরিচালক, শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, বিভিন্ন হল শাখা ছাত্রলীগ, কর্মচারী পরিষদ, সৃজনী বিদ্যানিকেতন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, বাধঁন সহ বিভিন্ন সংগঠন। সকাল ৯টায় বিজয় দিবসের শোভাযাত্রা শেষে খেলার মাঠে প্যারেড স্কয়ারে বিশ্ববিদ্যালয় এবং সৃজনি বিদ্যানিকেত’র শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শণ করে।

পরে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত। এছাড়াও রচনা প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র্যালি ও কনসার্ট

তিতাসে তিতাস ক্লাবের বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র্যালি ও কনসার্ট
হালিম সৈকত, তিতাস (কুমিল্ল) থেকে
কুমিল্লার তিতাসে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তিতাস ক্লাব লিমিটেড এর উদ্যোগে বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপন করা হয়েছে।

১৬ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় আসমানিয়া বাজার থেকে বিজয় র্যালি শুরু করা হয়।
র্যালিটি আসমানিয়া বাজার থেকে শুরু হয়ে দড়িকান্দি, দুলারামপুর হয়ে দাসকান্দিতে এসে শেষ হয়।
র্যালিতে নেতৃত্ব দেন তিতাস ক্লাব লিমিটেড এর প্রতিষ্ঠাতা দেলোয়ার হোসেন পলাশ।

রংবেরংয়ের সাজ সজ্জা আর বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে প্রায় কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় র্যালিটি। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, সহ সভাপতি তাজিরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামীম, কোষাধ্যক্ষ মোঃ সোহেল, সাব কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম নিরব, সাংগঠনিক সম্পাদক বোরহান উদ্দিনসহ সকল সদস্যবৃন্দ। বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ বিজয় দিবস কনসার্ট।

বর্ণিল আয়োজনে শৈলকুপায় বিজয় দিবস পালিত

এম হাসান মুসা,শৈকুপা(ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদ‌হের শৈলকুপায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা এবং বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যদয়ের পরপরই মহান বিজয় দিবস ও বিজয়ের ৫০ তম বর্ষপূর্তিতে সকাল ৭টায় কবিরপুর বঙ্গবন্ধু চত্ব‌রের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন ক‌রেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার শেফালী বেগম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কা‌নিজ ফা‌তেমা লিজা, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ,বি‌ভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,রাজ‌নৈ‌তিক ও সাম‌জিক সংগঠন,প্রেসক্লাব এবং সর্বস্তরের জনগণ।

সকাল ৯ টার দিকে সরকা‌রি ডি‌গ্রি ক‌লেজ মা‌ঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা অবমুক্ত, বেলুন উড়িয়ে বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর উদ্বোধন করা হয়। পরে সেখানে কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। এতে পুলিশ, আনসার সদস্যসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।

এ আ‌রো উপস্থিত ছিলেন স্থা‌নীয় মু‌ক্তি‌যোদ্ধাগন ডি‌গ্রি ক‌লে‌জের অধ্যক্ষ আব্দুস সোবহান, সকল দপ্ত‌রের প্রধানগন, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক ম‌তিয়ার রহমান বিশ্বাস,যুবলীগ সভাপ‌তি শা‌মিম হোসন
মোল্লা,সাধ‌ারন সম্পাদক শা‌মিমার র‌শিদ জোয়ার্দার,ছাত্রলীগ সভাপ‌তি দিনার বিশ্বাস,সাধারন সম্পাদক
শাওন শিকদার সহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠ‌নের নেতাকর্মী, সাংবা‌দিকবৃন্দ সহ বি‌ভিন্ন শ্রেণী
পেশার মানুষ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করলেন- পৌর মেয়র

এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

মহান বিজয় দিবস-২০২১ ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দিনাজপুর বিরামপুর পৌরসভার পক্ষ হতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ, মহান বিজয় দিবস-২০২১ ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ( ১৬ ডিসেম্বর/২০২১ খ্রিঃ) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে দিনাজপুর বিরামপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী বিরামপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় সকাল ০৬ঃ ১০ ঘটিকায় ৫০ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।

বিরামপুর পৌরসভা পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী পৌরসভার হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, সড়ক বাতি পরিদর্শক মাসুদ রানা, লাইসেন্স পরিদর্শক খলিলুর রহমান, পাম্প চালক বাবুল আক্তার, সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক মামুনুর রশিদ মানিক এছাড়াও সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক এবং পেশাজীবি সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করে।

পৌর শহরের ঢাকা মোড় বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্প মাল্য অর্পণ
ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

জামালপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস পালিত

এমরান হোসেন, জামালপুর প্রতিনিধি
নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে জামালপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজনে জামালপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম স্টেডিয়ামে সকাল থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ দিবসটি পালন করা হয়।

দিবসটির শুরুতেই আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ফেস্টুন ও শান্তির প্রতিক পায়রা অবমুক্ত করা হয়।
পরে সম্মিলিত কুচকাওয়াজ, শারীরিক কসরত প্রদর্শন ও পুরস্কার বিরতণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোর্শেদা জামান, জেলা প্রশাসক, জামালপুর। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- ফারুক আহমেদ চৌধুরী,জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর ও সদর সার্কেল, ছানুয়ার হোসেন ছানু, মেয়র জামালপুর পৌরসভা, জেলা আনসার কমান্ডেন্ট, জেলার জামালপুর জেলা কারাগার, পরিচালক, ফায়ার সার্ভিস জামালপুর, জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক নেতাকর্মীবৃন্দ, পুনাক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ প্রমূখ।

অনুষ্ঠান শেষে কুচকাওয়াজ, শারীরিক কসরত ও ডিসপ্লেতে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

ইছামতি খালের উপকণ্ঠে পাকসৈন্যদের আত্মসমর্পণ

আব্দুল্লাহ আল মারুফ চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি
১০ ডিসেম্বর ফেনী হানাদার মুক্ত হয়। ১২ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর ১১ রেজিমেন্ট শুভপুর ব্রিজ পার হয়ে মোস্তাননগর পৌঁছে। ১৩ ডিসেম্বর সীতাকুণ্ডের আংশিক শত্রু মুক্ত হয়। সীতাকুণ্ডে ধাওয়া খেয়ে পাক সৈন্যরা কুমিরায় শেষ ডিফেন্সটি স্থাপন করে।

তখন স্বাধীনতাকামীদের হাতে বেশ কয়েকজন পাক সৈন্য ধরা পড়ে। দুই সিভিলিয়ান বাঙালি মিত্র বাহিনীর হাতে প্রাণ হারায়। তারা পূর্ব আমিরাবাদ এলাকার গুরামিয়া সওদাগরের বাড়ির আমিরুজ্জামার ছেলে মদিন উল্যা (২৪) ও দক্ষিণ মহাদেবপুরের হাসানগোমস্তা মসজিদ এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে নূরুজ্জামা (৬০)। আহত হয় নিহত নূরুজ্জামার ছেলে জহুরুল হক। এ যুবকের পায়ে গুলি বিঁধে।

রেলওয়ের ডেবার পাড়ের পাকদের যে শক্ত ডিফেন্স ছিল সেটিও ধ্বংস হয়। কয়েকজন পাক সৈন্যের লাশ ডেবার পাড়ের উত্তর পূর্বপাড়ে পড়ে থাকে। অর্থাৎ ১৪ ডিসেম্বর ভোরে পাকসৈন্যদের গালফ্রা হাবিব লি.-এর সর্বশেষ ক্যাম্পটি পতন হয়।

১৩ ডিসেম্বর দুপুর ১টা। সীতাকুণ্ড হতে ৪ কি.মি. দক্ষিণে বাঁশবাড়িয়া এলাকায় মিত্রবাহিনী ও মুক্তিফৌজ সাময়িক যাত্রাবিরতি করে। মিত্রবাহিনী চূড়ান্ত লড়াইয়ে যাওয়ার আগে বাঁশবাড়িয়াস্থ মুক্তি সংগঠক ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আজিজুল হক চৌধুরীর বাড়িতে এক বৈঠকে মিলিত হয়। বৈঠকে মিত্রবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনন্দ স্বরূপ, মুক্তি সম্মুখযোদ্ধা ক্যাপ্টেন মাহফুজ, মুক্তি ক্যাপ্টেন জাফর ইমাম ও মুক্তি আঞ্চলিক ও থানা কমান্ডার ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ সালাহ্‌ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত হন।

রণকৌশল: মিত্র বাহিনী চার ভাগে ভাগ হয়ে অগ্রসর হবে। একটি গ্রুপ পাহাড় ঘেঁষে, দ্বিতীয় গ্রুপ রেললাইন হয়ে, তৃতীয় গ্রুপ ট্রাঙ্করোড পথে, চতুর্থ ফৌজ সমুদ্রের বেড়িবাঁধ দিয়ে সমানে দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হবে। শুধু মিত্রবাহিনী ও মুক্তিদের নিয়মিত ফৌজ অগ্রবর্তী হবে। গেরিলা ফৌজের কমান্ডার তাদের ফৌজকে বাঁশবাড়িয়া এলাকায় অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দেন।

১৪ ডিসেস্বর ভোর ৫টা। মিত্রবাহিনীর রেজিমেন্ট কুমিরার দিকে অগ্রসর হয়। তখনও সম্মুখযোদ্ধা নায়েক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বুঝতে পারেননি পাক ফৌজের এ ভয়াবহতা। এর মধ্যে মিত্রবাহিনীর ৩১নং জাঠ রেজিমেন্টের সাথে আরো ৩টি শক্তিশালী রেজিমেন্ট একত্রিত হয়। কিন্তু সমানে প্রচণ্ড বাধা আসতে থাকে।
দুপুর ১২টা।

কুমিরা শত্রু ঘাঁটির ওপর মিত্র বাহিনী ও মুক্তিরা প্রচণ্ডভাবে বোমা হামলা শুরু করে। উভয়পক্ষের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলা চলছে। মিত্রবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনন্দ স্বরূপের তরফ থেকে ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের নিকট নির্দেশ আসে-১০ম ইস্ট বেঙ্গলের ‘সি’ কোম্পানি ও মিত্রবাহিনীর দলকে রেখে কুমিরা পাহাড় হয়ে হাটহাজারী অভিমুখে রওনা দেয়ার। ক্যাপ্টেন জাফর ইমাম সন্ধ্যার দিকে ১০ম ইস্টবেঙ্গল নিয়ে যাত্রা শুরু করতে মনস্থির করেন। ১৫ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পৌঁছে তাঁদের কোম্পানী।

১৫ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা। মিত্রবাহিনী ট্রাকযোগে আরো ১২টি মরদেহ নিয়ে যায় চন্দ্রনাথ ধামে। এর মধ্যে পাকবাহিনীর অপর একটি ফৌজ কুমিরার সর্বশেষ ডিফেন্স ছেড়ে দক্ষিণে বারআউলিয়া এলাকায় পিছু হটে। পাক ফৌজ কোর্টপাড়া হাজি এলাহী বঙের বাড়ি থেকে ডিফেন্স প্রত্যাহার করার প্রাক্কালে দুই সহোদর খলিলুর রহমান ও আমিনুর রহমানকে বেয়নেট খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। তারা কুমিরার কোর্ট পাড়ার আনোয়ার আলীর এক ছেলেকেও হত্যা করে।

১৫ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টা। হাটহাজারীর প্রায় ৩-৪ মাইল দূরে ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের সঙ্গে ৪র্থ ইস্টবেঙ্গল মিলিত হয়। ক্যাপ্টেন গাফ্‌ফারের অধীনে ৪র্থ ইস্টবেঙ্গলের দলটি চট্টগ্রাম-রাঙামাটি রোডে হাটহাজারী অভিমুখে রওনা দেয়। মিত্রবাহিনীর কমান্ডার কুমিরা পাকঘাঁটির উপর ত্রিমুখী আক্রমণ করার পরিকল্পনা নেন।

বাতাসে উড়ছে ঘাতকদের মরণঘাতি মর্টারসেল ও কামানের গোলা। আগুনের ফুলকিসহ বারুদের ঝাঁঝালো গন্ধ। কুমিরার পাকঘাঁটি থেকে ঘোড়ামরাস্থ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মামুন মাস্টারদের নতুন বাড়ি লক্ষ্য করে মর্টারসেল ছুঁড়ে। বিস্ফোরিত মর্টারসেলের স্প্রিন্টার গিয়ে জাকারিয়া কাজল নামের ১০ বছরের এক শিশুর শরীরে বিঁধে। শিশুটি মৃত্যুবরণ করে। মাস্টার এমএ মামুনের ছোটোভাই ডা. আবদুল্লাহ্‌ হিল কাফীর ডান হাতের বাহু, ডান পায়ের উরু ও কোমরে স্প্রিন্টার বিঁধে। ঘটনাটি ঘটে ১৫ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটা।

মুক্তি আলি আহম্মদের পরিবারেও নেমে আসে অবর্ণনীয় বেদনা। পাহাড়ের অরণ্যে আত্মরক্ষা করতে গিয়ে নিস্তার পেল না পরিবারটি। ঘটনায় আলি আহম্মদের বড়োভাই অলি আহাম্মদ, বড়োভাইয়ের স্ত্রী নুরুন নাহার এবং তাঁদের কন্যা আনোয়ারা বেগম ও আলী আহম্মদের বড়োবোন সখিনা খাতুনসহ ৪ জন মারা যান। বেঁচে যান আলি আহাম্মদের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও তাঁর কোলের শিশু নুরুল ইসলাম।

এদিকে বিকেল ৪টার মধ্যে মিত্রবাহিনীর আরো ২টি রেজিমেন্ট একত্রিত হল। মিত্রবাহিনীর রেজিমেন্ট ৪ ভাগে বিভক্ত হয়ে মার্চ করতে থাকে দক্ষিণদিকে।

রাত ১০-১১টার দিকে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামে আঁছড়ে পড়ে আরেকটি রকেট লাঞ্চার। ঘটনায় ফোরখ আহম্মদ চৌধুরীসহ পরিবারের ৫ সদস্য মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারান। তাঁরা হলেন ফোরখ আহম্মদ চৌধুরী, স্ত্রী কুলসুমা খাতুন, ছেলে সেলিম উদ্দিন চৌধুরী, মেয়ে সায়মা খাতুন চৌধুরী এবং নিহত ফোরখ আহম্মদ চৌধুরীর বৃদ্ধা মা সিরাজ খাতুন।

বেঁচে যায় ফোরখ আহম্মদ চৌধুরীর শিশুকন্যা শহরবানু এবং নিহত সায়মা খাতুন চৌধুরীর দেড় বছরের শিশুপুত্র দিদারুল আলম ও এক মেয়ে নুরবানু। ঘটনাস্থলে সায়মা খাতুনের নিথর দেহ পড়ে আছে। অবুঝ শিশু দিদারুল আলম অবলীলায় মায়ের বুকের দুগ্ধ পান করেই চলেছে!

১৬ ডিসেম্বর। ভোর ৬টা। শত্রুদের কুমিরা ডিফেন্সের ওপর পুনরায় আক্রমণ শুরু হলো। পাক বাহিনীর পক্ষ থেকে শক্তভাবে আক্রমণের প্রত্যুত্তর এলো। ওই অবস্থায় একযোগে নতুনপাড়া ক্যান্টনমেন্টের ওপর প্রচণ্ড চাপ দিতে থাকে মিত্রবাহিনী। মুক্তি লে. দিদারের অধীনে ১০ম বেঙ্গলের যে ‘সি’ কোম্পানি ছিল, তারাও সর্বশক্তি দিয়ে কুমিরার পাক ঘাঁটির ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যক্ষ্মা হাসপাতাল বরাবর পশ্চিমে নিউ রাজাপুর মন্দিরলাগোয়া পাকবাহিনীর সর্বশেষ বাঙ্কারে মর্টারসেল আঘাত হানে। মিত্রবাহিনীর নিখুঁত নিশানা। এক বাঙ্কারে পাক বাহিনীর ১০-১২ জওয়ান প্রাণ হারায়। কিন্তু কুমিরা টিবি হাসপাতালের পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত পাকদের একটি ডিফেন্স তখনো সক্রিয়। এক পাক সেনা আমেরিকার তৈরি মেশিনগান দিয়ে বৃষ্টির মতো গুলি ছুঁড়ছিল। ক্যাপ্টেন এনাম এক গেরিলাকে নির্দেশ দেন, কুমিরার টিবি হাসপাতালের পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত শত্রুদের বাঙ্কারটি নির্ণয় করে ধ্বংস করতে। একটু পরে শুনতে পায় ওই সৈন্যের আর্তচিৎকার।

এর মধ্যে পাক সেনাদের হাতে ভাটিয়ারীর বিএম গেট এলাকায় সম্ভ্রম হারালো এক গৃহবধূ। ওই গৃহবধূর স্বামী সৈয়দুর রহমানসহ ৩ ব্যক্তি প্রাণ হারান ঘটনার স্থলে। অতঃপর আধ ঘণ্টা পর প্রিয় মাতৃভূমি হানাদারমুক্ত হয়।
এদিকে মিত্রবাহিনীর লেফটেনেন্ট হরগবিন্দ সিং তাঁর কোম্পানি নিয়ে কুমিরায় এসে পৌঁছেন। দুপুর ২টায় তাঁরা বারআউলিয়া এলাকায় অবস্থান নেন। মিত্রবাহিনীর ওই কোম্পানির সুবেদার আজিজ ও সম্মুখযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন (ওপি) অগ্রভাগে রয়েছেন।

সুবেদার আজিজসহ তাদের কোম্পানি খুবই সতর্ক অবস্থায় এগিয়ে যাচ্ছে।
বিকেল ৪টা ২৭মিনিট। তাঁরা কাসেম জুটমিলের সামনে নিয়াজী পুকুরপাড়ে বাঙ্কার খনন করে পজিশন নেন। তখন ঢাকাসহ সারাদশে অনেকটা যুদ্ধ থেমে গেছে। পাকবাহিনীর শেষ অবস্থান মাদামবিবিরহাটস্থ ইছামতি খালের দক্ষিণপ্রান্তে। পালিয়ে যাওয়াকালে পাক সৈন্যরা ইছামতি খালের সেতুটি উড়িয়ে দেয়। আকাশে উড়ছে মিত্রবাহিনীর হেলিকপ্টার। হেলিকপ্টার থেকেও আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট ছাড়া হয় লিফলেটে জানানো হয়। ‘আত্মসমর্পণ করতে সম্মত হয়েছেন পাক কমান্ডিং প্রধান মেজর জেনারেল নিয়াজী।’

রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’ গ্রন্থে লেখেন – ১৬ ডিসেম্বর। বিকেল ৪০ টা ৩০ মিনিট। ঢাকাসহ সব জায়গায় যুদ্ধ থেমে গেছে। সুবেদার আজিজ তার কোম্পানি নিয়ে খুব সতর্কতার সাথে ফৌজদারহাটের ছোট খালটি অতিক্রম করছেন। ঠিক ঐ মুহূর্তে নিয়াজী আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করছেন ঢাকার রেসকোর্স মাঠে। আর পাকিস্তানিদের নিক্ষিপ্ত গোলা এসে পড়লে সুবেদার আজিজ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কিছুক্ষণ পর ভাটিয়ারীর ধ্বংসপ্রাপ্ত ব্রিজটির দক্ষিণ দিক থেকে একজন পাকিস্তানি মেজর একটি সাদা পতাকা উড়িয়ে হাঁটতে হাঁটতে চলে আসে খালের পাড় পর্যন্ত। মেজর রফিকুল ইসলাম এদিক থেকে এগিয়ে গেলেন। মাঝখানে মাদামবিবির সেই বিধ্বস্ত ব্রিজও বয়ে যাওয়া খাল। পাকিস্তানি ওই মেজর ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলামকে জানান, তারা নিয়াজীর কাছে থেকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ পেয়েছে এবং আত্মসমর্পণ করতে চায়।

তখন পশ্চিম আকাশে সূর্য ঢলে পড়ে। পাক ২৪ এফএফএর ‘বি’ কোম্পানির মেজর হাদীসহ একে একে পাকসেনারা আত্মসমর্পণ করে। দিনের শেষ সূর্যটাও পশ্চিমদিকে অস্তগামী হয়।

উৎসবমুখর পরিবেশে সারারাত মুক্তিযোদ্ধা ও স্বেচ্ছাসেবকরা মাদামবিবিহাটের ধ্বংসপ্রাপ্ত সেতুর পাশে বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করছিল। সেরাতে মুক্তিগেরিলা ও মিত্রবাহিনীর এক ব্যাটালিয়ন সৈন্য মাদামবিবিরহাটস্থ ইছামতিখাল পাড় হয়ে চট্টগ্রাম অভিমুখে রওনা দেন।

১৬ ডিসেম্বর। রাত ৮টা। মিত্রবাহিনীর অপর একটি গ্রুপ পাক আত্মসমর্পণের ময়দান মাদামবিবির হাট এলাকা অতিক্রম করছিল। তখন শীতলপুর ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন চিলকিল্লা পাহাড় থেকে পাকসৈন্যদের ছোঁড়া একটি কামানের গোলা আঁছড়ে পড়ে। ঘটনায় এক শিখ ক্যাপ্টেনসহ মিত্রবাহিনীর ৪ সেনা প্রাণ হারান।

১৭ ডিসেম্বর। সকাল ৬টা। মেজর রফিকুল ইসলাম লাঠি ভর দিয়ে খাল পাড় হলেন। অবশ্য তখনো পর্যন্ত ইছামতি খালের বিকল্প রাস্তার কাজ শেষ হয়নি। মেজর রফিকের হাতে ছোট একটি প্যাকেট। শহরের কিছু লোক তাঁকে গাড়িতে তুলে সোজা সার্কিট হাউজে নিয়ে আসেন। বাস এবং ট্রাকে করে পাকিস্তানি সেনারা দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছিল নেভাল বেইস এবং চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের দিকে।

রাস্তার দু’ পাশে অসংখ্যলোক অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। সার্কিট হাউজের সামনে অনেক লোক জড়ো হয়ে আছে। জনতার ভিড় ঠেলে মেজর রফিকুল ইসলাম সার্কিট হাউজের ভেতরে যান। তখনো সেখানে পাকিস্তানের পতাকা উড়ছিল। মেজর রফিকুল ইসলাম ছোট প্যাকেটটি খুললেন। এক সুন্দর মুহূর্তে বাংলাদেশের পতাকাটি এক কিশোরের হাতে তুলে দিলেন। পতাকাটি বুকে জড়িয়ে ধরে দৌড়ে উঠে গেল কিশোর। পাকিস্তানি পতাকা ছুঁড়ে ফেলে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে দেয়। আনন্দে বিশাল জনতা ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি তুলে আকাশ-বাতাস মুখরিত করে তোলে।

ঠাকুরগাঁওয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন

জসিম উদ্দিন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

নানা আয়োজনে ঠাকুরগাঁও জেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন ২০২১ পালন করা হয়েছে। সুর্যদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি বে-সরকারি ভবনে জাতিয় প্রতাকা উত্তোলন করা হয়, এবং অপরাজেয় ৭১ প্রাঙ্গণে বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীতে ৫০টি তোপধ্ধনিতে মুখরিত হয় অপরাজেয় ৭১ প্রাঙ্গণ।

প্রথমে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ঠাকুুরগাঁও- ১ আসনের সংসদ সদস্য- রমেশ চন্দ্র সেন এমপি, অপরাজেয় ৭১ য়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন- পরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মোঃ মাহবুবুর রহমান , ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন , ঠাকুরগাঁও জেলা বীর মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার বদেরুজ্জামান বদর, জেলা ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলার বীর মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার সুবোধ চন্দ্র রায়, পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এর পরে একে একে ঠাকুরগাঁও বিটিভি উপকেন্দ্র সহ জেলার বিভিন্ন সরকারি বে-সরকারি অফিস ও সাধারণ জনগণ এবং বিভিন্ন সংগঠন গুলো পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

পুস্পস্তবক অর্পনের পরে বিজয় র‌্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে মুক্তিযোদ্ধাদের কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সর্বস্তরের মানুষ।

চট্টগ্রামে পালিত হচ্ছে স্বাধীনতার
সুবর্ণজয়ন্তী এবং মহান বিজয় দিবস

মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ: চট্টগ্রামে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মহান বিজয় দিবস। এই বিজয় দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষজন।

বৃহস্পতিবার দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মিনারে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। পরে শ্রদ্ধা জানান বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ
কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান।

এরপর একে একে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, সিডিএ, আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সহযোগী
সংগঠন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব এবং সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষেই মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। এজন্য মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার
সৌভাগ্য, দেশের মানুষের সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে পারছি।

ওদিকে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে সকাল ৮টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর শুরু হয় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার, বিএনসিসি, ফায়ার
সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, কারারক্ষী, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ স্কাউটস, রোভার স্কাউটস ও গার্লস গাইড বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ এবং শারীরিক কসরত প্রদর্শন করেন।

রুমায় ১৯ আনসার ব্যাটালিয়ন এর মহান স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী বিজয় দিবস অনুষ্ঠিত

আব্দুল্লাহ আল মারুফ
চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান

বান্দরবান জেলা রুমা উপজেলা বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী মহা পরিচালক নির্দেশনায় আলোকে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও জাজমকভাবে রুমা ১৯ আনসার ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস ও মহান স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে।

১৬ ডিসেম্বর এ উপলক্ষে গৃহিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ছয়টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বিজয়”৭১ স্তম্ভে পুস্প স্তবক অর্পন করা হয়।

এসময় উপস্হিত ছিলেন ১৯ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর মজিদ, রুনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লাচিং মারমা, রুমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মামুন শিবলীর নেতৃত্বে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সামাজিক ও ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্প স্তবক অর্পন করেছে।

মহান স্বাধীনতা বিজয় দিবস উপলক্ষে রুমার ১৯ আনসার ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে ভবনসমূহের আলোক সজ্জায় সজ্জিত দৃশ্যমান ও সবার চোখে পড়ে। সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাধীনতার যুদ্ধ ও বাংলাদেশ ৫০ বছরে উন্নয়নের তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। দুপুর ভোজের পরে মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযুদ্ধাদের বিদেহী মাগফেরাত এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধায় আহত মুক্তি যুদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য ও জাতির সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উত্তরোত্তর অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

জমকালো ভাবে অনুষ্ঠিত হলো ৮৪ তম ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা

জমকালো ভাবে অনুষ্ঠিত হলো ৮৪ তম ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা

মো.আরিফুল ইসলাম
নাগরপুর (টাংগাইল) প্রতিনিধি:

একসময় নবান্নের ধান কাটার উৎসব এর শেষে গ্রামবাংলায় খোলা মাঠে ঘোড়দৌড়ের আয়োজন করা হতো। সময়ের সাথে গ্রামের সংস্কৃতির এই রেওয়াজ হারিয়ে যেতে বসেছে।

বিজয় দিবস উপলক্ষে গ্রাম বাংলার অন্যতম আকর্ষণ ঘোড়াদৌড় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল টাঙ্গাইলের নাগরপুরে। ঐতিহাসিক এই ঘোড়াদৌড়ের আয়োজন করেছে নাগরপুরের সহবতপুর ইউনিয়নের চরডাঙ্গা গ্রামবাসী। আয়োজক কমিটির সাথে কথা বললে তারা বলেন দীর্ঘ ৮৪ বছর যাবত ১৬ ডিসেম্বর উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক জমকালো ভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা।

ঐতিহ্যবাহী এই ঘোড়া দৌড় দেখার জন্য এই গ্রামের প্রত্যেক বাড়িতে একদিন আগেই বিভিন্ন জায়গার আত্মীয়-স্বজন এসে অবস্থান করে এবং খুব সুশৃংখলভাবে ঘোড়া দৌড় উদযাপন উপভোগ করে। দর্শনার্থী হিসেবে পুরুষের তুলনায় মেয়েদের আগমন কম নয়।

দর্শনার্থী মাহবুব আলম ( সরকারি চাকরিজীবী) তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি সাধারণত গ্রামে আসিনা শুধুমাত্র এই ঘোড়া দৌড় দেখার জন্য গ্রামে আসা এখানে আসলে আমার শৈশবের কথা মনে পড়ে আমি খুব ছোটবেলা থেকেই এই অনুষ্ঠানটি দেখে আসতেছি। আমি খুব আত্মতৃপ্তি পাই।

এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে অনেক ধরনের দোকানপাট বসে তার মধ্যে বাচ্চাদের খেলনার দোকান , বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান। আয়োজক কমিটির কাছে দর্শকদের দাবি এই ঐতিহ্যকে যেন আজীবন ধরে রাখে। তাহলে মনে হবে আমরা বাঙালি বাংলায় আমার প্রাণ।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস পালিত

কাজী ওহিদ- গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি থেকেঃ- গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সারাদেশে ন্যায় মুকসুদপুরে ১৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।

ভোর ৬টায় ৩১বার তোপধ্বনি মাধ্যমে বিজয় দিবসের সূচনার শুরু হয়। ভোর সাড়ে ৬টয় উপজেলা পরিষদ মাঠে শহীদ মিনারে প্রথমে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জোবায়ের রহমাম রাশেদ,উপজেলা পরিষদের পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কাবির মিয়া,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষে
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জোবায়ের রহমাম রাশেদ,মুকসুদপুর থানার পক্ষে মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু বকর মিয়া,উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মেয়র মোঃ আতিকুর রহমান মিয়া,পৌর আওয়ামীলীগের পক্ষে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন মুন্সীসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাস্কৃতিক সংগঠন শহীদ বেদীতে ফুলের শ্রদ্ধ্যাঞ্জলি জানান।

এরপর দুপুর ১১টায় মহান বিজয় দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের ধারন ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জোবায়ের রহমাম রাশেদের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কাবির মিয়া,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডঃ আতিকুর রহমান,মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু বকর মিয়া,

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ফিরোজ খান,স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ের মুকসুদপুর থানার অধিনায়ক জাফর আহম্মেদ মল্লিক, বাশবাড়িয়া ইউ,পি চেয়ারম্যয়ন মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মনিরুজ্জামান মোল্যা, মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান,হাফিজুর রহমান চোকদার,মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমূখ।

বিকাল ৩ টায় প্রীতি ফুটবল ত্রুীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকাল সাড়ে ৪টায় দেশব্যাপী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শপথ বাক্য পাঠে মুকসুদপুর উপজেলায় উপস্থিত সকলে অংশ নেয়। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দেশব্যাপী নানান কর্মসূচিতে পালিত হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী

জলঢাকায় জাতীয় পার্টি”র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস পালন

মনিরুজ্জামান লেবু নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর জলঢাকায় নানা অায়োজনের মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালন করেছে উপজেলা ও পৌর জাতীয় পার্টি সহ সকল অঙ্গ সংগঠন।

এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে জাতীয় পার্টির অস্থায়ী কার্যালয় থেকে একটি বিজয় শোভাযাত্রা বের হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে পুষ্প্যমাল্য অর্পন করেন।

এ সময় উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক দবিরুল হুদা, সাইদার রহমান বুলু, শরিফুল ইসলাম প্রিন্স, মনিরুজ্জামান লেবু, মিজানুর রহমান, বাবলুর রহমান, দুলাল হোসেন বাবলু, সদস্য সচিব অধ্যাপক মমিনুল ইসলাম মঞ্জু, পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি অাব্দুল গফুর, সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন অার্মী, জাতীয় সেচ্ছাসেবক পার্টির অাহবায়ক অাসাদুজ্জামান অাজাদ,পৌর যুবসংহতির সদস্য সচিব অানিছুর রহমান যাদু, ছাত্র সমাজের জেলা অাহবায়ক অানোয়ার হোসেন, উপজেলা শ্রমিক পার্টির অাহবায়ক গোলাম মোস্তফা, সদস্য সচিব রাজাসহ জাতীয় পার্টি, যুবসংহতি,শ্রমিক পার্টি ও ছাত্র সমাজের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ সহ সকল ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর অাগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তলন করে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।

জয়পুরহাটে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস পালিত

এস কে মুকুল, জেলা প্রতিনিধিঃ

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে জয়পুরহাটের শহীদ ডাক্তার আবুল কাশেম ময়দানের সূর্যদয়ের সাথে সাথে স্মৃতিস্তম্ভে শহীদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, জেলা আওয়ামী লীগ, সিভিল সার্জন, গণপূর্ত বিভাগ, আধুনিক জেলা হাসপাতাল, খাদ্য বিভাগ, প্রেসক্লাব জয়পুরহাট, পৌরসভা, সমাজ সেবা অধিদপ্তর, প্রাণী সম্পদ বিভাগ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, সিভিল ডিফেন্স, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পূজা উদযাপন পরিষদ, সনাতন পরিবার, হিন্দু পরিষদ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, জয়পুরহাট লাইব্রেরি ও ক্লাব, একুশে আবৃত্তি পরিষদ, নবনাট্য সংঘ, একেএম আব্দুল আজিজ সংগীত ভুবন, আদিবাসী সংঘ সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।

শ্রীপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে পুরষ্কার বিতরণ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত

আবু সাঈদ শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
সারাদেশের ন্যায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পূর্ব খন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুজিব শতবর্ষ, স্বাধীনতা সুরর্ণ জয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবের ৫০ বছর পূতি উদযাপন উপলক্ষে বিজয় র‍্যালী, পুরষ্কার বিতরণ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

কেওয়া পূর্ব খন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি মোঃ এরশাদুল হক সরকার এর সভাপতিত্বে সহকারী শিক্ষক শেখ খলিলুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন গাজীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্যে রাখেন নূর মোহাম্মদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, শ্রীপুর, গাজীপুর, সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন মনিরা খাতুন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার শ্রীপুর, গাজীপুর, স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কেওয়া পূর্ব খন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান।এসময় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি কবির সরকার, সহ শিক্ষক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

আলোচনা সভা শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
পরবর্তী প্রজন্মকে শত বর্ষে বাংলাদেশে বিনিমানের জন‍্য শিক্ষার্থীদের ক্ষুদে মুজিব, সংগীত টিম, কাব স্কাউট, ক্ষুদে ডাক্তার, পাঠক চক্র ও ক্ষুদে খেলোয়ার দলে বিভক্ত করে উপস্থাপন করা হয়।কেওয়া পূর্ব খন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিজয়ে এই ইনোভেশনটি দেখে গাজীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন মুগ্ধ হয়েছেন।

বিরামপুরে মহান বিজয় দিবস পালিত

এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি –
দিনাজপুরের বিরামপুরে বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে ।

দিবসটি উপলক্ষে দিনের প্রত্যুষে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের পুষ্প মাল্য অর্পনের মধ্যদিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়।

এরপর সকাল ৮টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত বিরামপুর আনছার মাঠে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কুচকাওয়াজ,ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলা নিবাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,মোঃ খায়রুল আলম রাজু ,ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাউল ইসলাম,

অতিরিক্ত সিনিয়ার সহকারি পুলিশ সুপার এ কে এম ওহিদুন্নবী, উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সহসভাপতি নাডু গোপাল কুন্ড্,ু সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, মুশফিকুর রহমান, বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ড.নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মশিহুর রহমান, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারি, উপজেলার সকল বীরমুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রমূখ।

কোটচাঁদপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত

কোটচাঁদপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত

আব্দুল্লাহ বাশার ( কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি)

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক র্অপণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের মনোমুদ্ধকর কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে খেলাধুলা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানরে মধ্য দিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ১৬ ডিসেম্বর কোটচাঁদপুর মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামিলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোছাঃ শরিফুনেচ্ছা মিকি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কোটচাঁদপুর সার্কেল মোঃ মোহামিনুল ইসলাম, পৌর মেয়র মোঃ সহিদুজ্জামান সেলিম,উপজেলা আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাজান আলী, মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ মইন উদ্দিন, সাবেক মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডার মোঃ তাজুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাদিয়া আক্তার পিংকি খাতুন, পৌর আওয়ামিলীগের আহ্বায়ক ফারজেল হোসেন মন্ডল প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তি যোদ্ধা, উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রী,শিক্ষক, সামাজিক সংগঠন, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারী, সাংবাদিক, থানা পুলিশের একটি চৌকস দল সহ আমন্ত্রিত অতিথি গণ।

আনোয়ারা প্রেসক্লাবের উদ্দ্যেগে মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন

মোঃ জাবেদুল ইসলাম,আনোয়ারা(চট্টগ্রাম)::

আনোয়ারা প্রেসক্লাবের উদ্দ্যেগে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও মহান বিজয় দিবস যথাযর্থ মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলা শহীদ মিনারে আনোয়ারা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

আলোচনা সভার অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল নুর চৌঃ সভাপতিত্বে দপ্তর সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার মাস্টার শামসুল আলম,প্রধান বক্তা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এফ.এফ কমান্ডার বজল আহমেদ চৌঃ বিশেষ অতিথি ছিলেন কাজী মোঃ জাকের হাজীগাঁও এজে নিজাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক নাবিদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জাবেদুল ইসলাম, পাঠাগার সম্পাদক রিয়াদ হোসেন, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক জাহিদ হাসান হৃদয়, খালেদ হাসান,শেখ আব্দুল্লাহ, মোঃ আরফাত প্রমুখ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিরামপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ

এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

মহান বিজয় দিবস-২০২১ ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিরামপুর থানা পুলিশের পক্ষ হতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ, মহান বিজয় দিবস-২০২১ ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ( ১৬ ডিসেম্বর/২০২১ খ্রিঃ) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ওয়াহিদুন্নবি বিরামপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় সকাল ০৬ঃ ১০ ঘটিকায় ৫০ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।

বিরামপুর থানার পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ওয়াহিদুন্নবি সরকার বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন কুমার মহন্ত অফিসার ইনচার্জ তদন্ত মতিয়ার রহমান বিরামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এরশাদ হোসেন সহকারি পুলিশ পরিদর্শক একেএম শাহজাহান এছাড়াও সকল থানার পুলিশ স্টাফ সহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক এবং পেশাজীবি সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করে।

পৌর শহরের ঢাকা মোড় বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্প মাল্য অর্পণ
ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় ৷

আনোয়ারায় রায়পুর ইউনিয়ন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বিজয় দিবস পালিত

মোঃ জাবেদুল ইসলাম,আনোয়ারা(চট্টগ্রাম)::

আনোয়ারায় রায়পুর ইউনিয়ন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেয় বাঙালি জাতি। দেশের প্রতিটি প্রান্তে শুরু হয় বিজয়ের মিছিল। আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে পুরো বাঙালি জাতি।

আজ ১৬ ডিসেম্বর ২০২১। বিজয় লাভের ৫০ বছর। বাঙালি জাতির গৌরবের দিন, মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন। মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদেরকে আজ সারাদেশে বিশেষভাবে শ্রদ্ধা জানানো হবে। ১৬ কোটি বাঙালি সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করবে দেশের বীর সন্তানদের। যাদের ৯ মাসের সংগ্রাম ও রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি আমাদের লাল সবুজের পতাকা।

রায়পুর ইউনিয়ন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আবু ছাদেক চৌধুরী খোকন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক শিপংকর শীল, অভিভাবক সদস্য আবদুল খালেক, সিনিয়র শিক্ষক অঞ্জন কান্তি দাস, সহকারী শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম , দীপন কুমার শীল, আলী হায়দার প্রমুখ।

আড়াইহাজারে বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী পালিত
নুর হোসেন আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি :
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিত্বে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু । উপজেলা পরিষদ ,পুলিশ প্রশাসন, পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বিভিন্ন অংঘ সংঘঠন এসময় ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

ফুলেল শ্রদ্ধার আগে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মত্যাগের জন্য তাদের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিশেষ দোয়া করা হয়।

এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাহিদুর রহমান হেলো সরকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত রহমান নোমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সায়মা আফরোজ ইভা, থানা অফিসার্স ইনচার্জ আনিচুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ঝর্ণা আক্তার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খোরশেদ আলম, পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব সুন্দর আলী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল আহম্মেদ সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

পরে উপজেলার শহীদ মঞ্জুর স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয় ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বৃন্দ ও আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অংঘ সংঘঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দেশব্যাপী নানান কর্মসূচিতে পালিত হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী

শিবরাম স্কুল এন্ড কলেজে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালিত

রশিদুল ইসলাম রিপন, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
স্বাধীন বাংলাদেশের মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী আজ। এবার বিজয়ের অধ্যায় ৫০ বছর পেরিয়ে ৫১-তে পদার্পণের দিন।

পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে মুক্তিকামী মানুষ ১৯৭১ সালের এই দিনে অর্জন করেছিল বিজয়। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের পর বাংলার মুক্তিকামী মানুষ এই দিনটিতে বিজয়ের স্বাদ গ্রহণ করেছিল। স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের চেতনা পূর্ণতা পেয়েছিল আজকের এই দিনে। অগণিত মানুষের আত্মত্যাগ আর সীমাহীন কষ্টের প্রহর কেটে নতুন সূর্যোদয় ঘটেছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর।

লালমনিরহাটের শিবরাম আদর্শ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮:০০ টায় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ কামাল হোসেন জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে বিজয় দিবস পালনের কর্মসূচি শুরু করেন।

পরে জেলার স্বাধীনতা স্মারকে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও কর্মচারীবৃন্দ।

বিদ্যাপীঠটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম রাশেদ এর উপস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা মোড়ল হুমায়ুন কবিরের (ভার্চুয়ালী) সভাপতিত্বে বিদ্যালয় চত্ত্বরে আলোচনা সভা, শিক্ষার্থীদের গ্রুপ ভিত্তিক রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা, কবিতা আবৃত্তি এবং খেলাধুলাসহ কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
এসময় অভিভাবক ও সকল শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

লালমনিরহাটে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

রশিদুল ইসলাম রিপন, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লালমনিরহাট জেলা শাখার আয়োজনে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য অ্যাড. সফুরা বেগম রুমী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লালমনিরহাট জেলা শাখার সহসভাপতি নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা, রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মতিয়ার রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আশরাফ হোসেন বাদল, গোলাম মোস্তফা স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদী হাসানসহ অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে সকলকে বিজয়ের শুভেচ্ছা এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার ৫০বছর পূর্তিতে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লালমনিরহাট জেলা শাখার পক্ষ থেকে।

কোটচাঁদপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত

বঙ্গবন্ধু বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়াবার সুযোগ করে দিয়েছেন,এমপি জিল্লুল হাকিম

রুবেল চিশতী,রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জেলা পুলিশ লাইনসে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়।

সকাল সাড়ে ৭ টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্তম্ভে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, জেলা পুলিশ সুপার শাকিলুজ্জামান সহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

সকাল ৯ টায় স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বর্ণাঢ্য অভিবাদন গ্রহন করেন।

পরে রাজবাড়ী কর্তৃক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এ সময় রাজবাড়ী জেলার জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: জিল্লুল হাকিম, মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, রাজবাড়ী-২, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন উদ্দিন বতু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আমজাদ হোসেন মন্টু প্রমূখ।

এ সময় প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম বলেন, আমি স্মরণ করছি ইতিহাসের মহানায়ক স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি এনে দিয়েছিলেন মহান স্বাধীনতা। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়াবার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি জাতীয় চার নেতা ও সকল শহিদদের প্রতি। যাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা। এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি এবং ২০৪১ সালে আমরা উন্নত দেশের মর্যাদায় পৌঁছে যাব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমরা সকলে একসাথে কাজ করে যাব।

সারা দেশের ন্যায় দর্শনায় জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস ও সূবর্ণজয়ন্তী পালিত

দর্শনা প্রতিনিধিঃ সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ব্যাপক আনন্দ, উৎসাহ ও জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস ও সূবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালিত হয়েছে। মহান বিজয় দিবসে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পতাকার পাশপাশি দলীয় প্রতিষ্ঠানের পতাকা উত্তোলন করেন অনেকেই।

দর্শনা পৌরসভার উদ্যোগে রাত ১২টা ১মিনিটে ২১বার তোপ্পাধ্বনীর মাধ্যমে বিজয় দিবসের শুভ-সূচনা করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় দর্শনা পৌরভার আয়োজনে দর্শনা কেরুজ বাজার মাঠে এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবি সংগঠন ছাড়াও দলমত নির্বিশেষ বিভিন্ন ধরণের সংগঠন দর্শনা কেরু ফুটবল মাঠে উপস্থিত হয়ে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন এবং শপথ বাক্য পাঠ করেন।

দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের সার্বিক পরিচালনায় ও সঞ্চালনায় এবং হিন্দোল পরিষদের সঙ্গীত দলের জাতীয় সঙ্গীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মনজু এবং দর্শনা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শহীদুল ইসলাম। মুক্তিযুদ্ধ পতাকা উত্তোলন করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম, বীর মমুক্তিযোদ্ধা আঃ সবুর সহ মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মফিজুর রহমান, আ’লীগ নেতা- জয়নাল আবেদীন নফর, সোলাইমান কবীর, যুবলীগ নেতা- আঃ হান্নান ছোট, মামুন শাহ, আশরাফুল প্রমুখ। শপথ বাক্য পাঠ করান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী জয়নাল আবেদীন। এরপর উপস্থিত সকল সংগঠন শোভাযাত্রা করে দর্শনা আনন্দ বাজার মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে একে একে পুস্পমাল্য অর্পন করেন।

দেশব্যাপী নানান কর্মসূচিতে পালিত হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুল হক মিকা

আল আমীন কালিদাস পুর ইউনিয়ন প্রতিনিধি ঃ১৬ই ডিসেম্বর ২০২১ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কালিদাসপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আসাননগর গ্রামে ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব আইয়ুব হোসেন। উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজি মারজানা মিতু। উপস্থিত ছিলেন কালিদাসপুর ইউনিয়ন নব্য চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুল হক মিকা ও আরো অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন নব্য চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুল হক মিকা। তিনি তার বক্তব্যে বলেন আপনাদের সকলের দেওয়া ভোটে ও আল্লাহর ইচ্ছায় আমি নির্বাচিত হয়েছি। তাছাড়া আমার কোনো কৃতিত্ব নাই।আপনাদের কাছে জীবনে একবার ভোট চেয়েছি এবং এর পরে আর কখনো ভোট চাইবো না। আপনারা আমার কাজ দেখে সন্তুষ্ট হয়ে ভোট দিবেন। আমি এখানে কাজের মাধ্যমে আপনাদের সকলের মনে জায়গা করে নিবো।

আপনারা জানেন আমি রাজনীতি করা ছেলে নয়। বিগত কয়েক মাস আপনাদের মাঝে এসেছি।আমি আপনাদের ছেলের মত তাই আমার জন্য সকলে দোয়া করবেন এবং আপনার ইউনিয়নে যেকোন সমস্যা আমার কাছে বলবেন। আমার যদি সম্ভব হয় তাহলে সমাধান করার চেষ্টা করবে ইনশাল্লাহ। আমি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসাবে নয় এই ইউনিয়নের একজন সেবক হিসাবে আপনাদের মাঝে থাকতে চাই।

আলমডাঙ্গা উপজেলার সব থেকে অবহেলিত ইউনিয়ন হচ্ছে আমাদের কালিদাসপুর ইউনিয়ন। আমি চাই কালিদাসপুর ইউনিয়ন এমন একটি ডিজিটাল ইউনিয়নে পরিনিত হোক যাতে সকলেই আলমডাঙ্গা উপজেলার মধ্যে কালিদাসপুর ইউনিয়ন কে ডিজিটাল ইউনিয়ন হিসাবে এক নামে চেনে।

আরেকটি কথা বর্তমান সরকার উন্নয়নমূলক সরকার আপনারা দেখছেন প্রতিটি ইউনিয়নে রাস্তাঘাট,কালভাট, মক্তব, মসজিদ,স্কুল, কলেজ সব জায়গায় ব্যাপক উন্নয়ন করছে এবং তারই হাত ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু চেয়ারম্যান মেম্বার আছে তাদের হাত থেকে জনগণ তেমন কিছু পায়না তাই সাধারণ জনগণের সরকারের উপরে বিরূপ মন্তব্য করে বসে।

তাই আমি চেষ্টা করবো আমার ইউনিয়নে প্রতিটি মেম্বারের সাথে ওয়ার্ডের তিনটা মন্ডল থাকবে। গরিব দুঃখী লোক তারা বাছাই করবে এবং তাদের সুপারিশে প্রতিটি ওয়ার্ডের দুস্থ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করার চেষ্টা করবো। সরকারের কাছ থেকে যখন যে বরাদ্দ পাবো তা গরিব দুঃখীদের মাঝে সাথে সাথে দেয়ার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন।