কী আছে রোনালদোদের ভাগ্যে

এমন শঙ্কাটা আগেই ছিল। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার রাতে জুরিখের ড্রয়েও দু’দল পড়ল এক লড়াইয়ের কেন্দ্রে। তাই এটা নিশ্চিত হয়, পর্তুগাল নয়তো ইতালিকে ছাড়াই দেখতে হবে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ। বিষয়টি মোটেও বোধগম্য হচ্ছে না অনেকের কাছে। এবারে ইউরোজয়ী ইতালি আর আগের বারের জয়ী পর্তুগাল। তাদের ছাড়া কি জমবে ফুটবলের মহারণ। এরই মধ্যে এমন প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। রাশিয়া বিশ্বকাপেও নাম ওঠাতে পারেনি ইতালির মতো সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কাতারের মঞ্চেও যদি না থাকে তারা তাহলে সত্যিই দেশির ফুটবলপ্রেমীদের জন্য ভয়ানক দুঃখেরই হবে। অন্যদিকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো তারকাকে ছাড়া বিশ্বকাপ কল্পনা করতেই খারাপ লাগছে তার ভক্তদের। তাই ফিফার ড্র পদ্ধতিকেও কাঠগড়ায় তুলছেন ফুটবলবোদ্ধারা।

নিয়ম অনুযায়ী ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ে দশ গ্রুপের শীর্ষ দশ দল সরাসরি ২০২২ বিশ্বকাপে নাম লেখাবে। এরই মধ্যে দশ দল চূড়ান্ত হয়ে গেল। আর সেসব গ্রুপের রানার্সআপ হওয়া দশ দলের সঙ্গে নেশন্স লিগের গ্রুপসেরা দুই দল নিয়ে মোট ১২ দলকে নামতে হবে প্লে-অফ সাগর পাড়ি দেওয়ার মিশনে। ১২ দল থেকে সেরা তিনটি দল পাবে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ। বোঝাই যাচ্ছে, কতটা কঠিন থেকে কঠিনতর হবে এই লড়াইটা। যেখানে পর্তুগালের সঙ্গে রয়েছে রাশিয়া, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, পোল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড, নর্থ মেসেডোনিয়া, তুরস্কের মতো দল।

১২টি দল তিনটি ভাগে মোট ছয়টি সেমিফাইনাল খেলবে। সেখান থেকে জয়ী ছয় দল আবার ফাইনালে মুখোমুখি হবে। আর ফাইনালের জয়ী তিনটি দল যাবে কাতার বিশ্বকাপের মূল পর্বে। এই হিসাব মেলাতে ড্রয়ে ইতালির সামনে পড়ল পর্তুগাল। শুরুতে সেমিতে পর্তুগাল খেলবে তুরস্কের সঙ্গে। অন্যদিকে ইতালির প্রতিপক্ষ নর্থ মেসেডোনিয়া। সেমির জয়ী দু’দল আবার একে অন্যের মুখোমুখি হবে। সেখান থেকে একদল কাটা, আরেক দল সোজা বিশ্বকাপে। এমন অগ্নিপরীক্ষায় পড়ার আগেও আশার কথা শুনিয়েছিলেন পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো সান্তোস, ‘আমি পুরোপুরি বিশ্বাস করি পর্তুগাল ঠিকই বিশ্বকাপে খেলবে। প্রতিপক্ষ ইতালি হোক আর যে-ই হোক।’ আগামী ২৪ ও ২৫ মার্চ হবে সেমির ম্যাচগুলো। আর ফাইনাল হবে ২৮ ও ২৯ মার্চ।

পর্তুগাল গেলেও যে ইতালির মতো দলকে মিস করবেন অনেকে। যেমন প্লে-অফের এই ড্রয়ের আগে বিশ্বকাপজয়ী জার্মান কিংবদন্তি লোথার ম্যাথিউস বলেছিলেন, ‘ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো ব্যক্তিত্ব ফিফা বিশ্বকাপে না থাকলে হয় না। ইতালির ক্ষেত্রেও একই কথা চলে। ইন্টারে দারুণ কিছু সময় কাটিয়েছি আমি। তাই আজ্জুরিরা আমার হৃদয়ে সবসময় একটা অংশজুড়ে থাকে।’