প্রভাবশালীরা রেলওয়ে দখল, উচ্ছেদের নেই কোন উদ্যোগ,জীবননগর উথলী রেলওয়ের ৭৬ একর জমি ভোগ-দখল।

এইচ এম হাকিম, স্টাফ রিপোর্টারঃচুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার উথলী রেলওয়ের ৭৬ একর জমি বিভিন্য অজুহাতে দখলে নিয়েছে কয়েক জন প্রভাবশালী মহল, হাজার কোটি টাকা দামের জমি দখল থেকে মুক্তি চাচ্ছে এলাকার সচেতন মহল,রেলওয়ের জায়গায় দুকান পাট নির্মান করে ভারা দিয়ে, মোচে তৈল মেখে মাসিক ভারায় চালাচ্ছে কয়েক প্রভাবশালীর সংসার,স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিকট আত্নীয় হওয়াতে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে জোরালো ভাবে ব্যাবস্থা নিতে পারেনা স্থানীয় দায়িত্বে থাকা রেলওয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা।

এলাকার কিছু দালাল চক্রের সহায়তায় নামে বেনামে ওইসব জমিতে গড়ে তুলেছেন পাকা ইমারত। বাজার সংলগ্ন এলাকায় গড়ে ওঠেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দখলকারীরা লিজ ও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে রেলওয়ের ৭৬ একর জমি দখল করে নিয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, রেল বিভাগের অসাধু কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশে এলাকার একটি দালাল চক্র দখল বানিজ্যে মেতে উঠেছে। দখলদাররা রেলের ওইসব জমি মোটা টাকায় বিক্রি করে দিচ্ছে স্থানীয়দের কাছে। আর তাতে গড়ে ওঠেছে পাকা বসতবাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার উথলী ও আনছারবাড়িয়া রেলস্টেশন সংলগ্ন রেল বিভাগের প্রায় ৭৬ একর জমি রয়েছে। এর মধ্যে উথলী মৌজার ৩ নং খতিয়ানের ৬৩ একর ৫৪ শতক, সেনেরহুদা মৌজার ৩ নং খতিয়ানে ৩ একর ৫৬ শতক, মৃগমারী মৌজার ২নং খতিয়ানে ৬ একর ৭৬ শতক ও কুমারীডাঙ্গা মৌজার ২নং খতিয়ানে ২ একর ১১ শতক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উথলী রেলওয়ে স্টেশনের এক কর্মচারী জানায়, এলাকার অসাধু ব্যক্তিরা স্টেশনের আশপাশের রেলওয়ের বিপুল পরিমাণ জমি অবৈধভাবে দখল করে শতাধিক পাকা দোকানঘরসহ প্রায় ৩ শতাধিক স্থাপনা গড়ে তুলেছে। স্থানীয় দালাল চক্র বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশী ভূ-সম্পত্তি কার্যালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে উৎকোচ প্রদানের মাধ্যমে নামকাওয়াস্তে লীজ ও ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে এসব জমি দখল করছে। পরবর্তীতে অবৈধ দখলদাররা তাদের দখলীয় রেলওয়ের জমি অন্যত্র বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

রেলওয়ের জমিতে গুদামঘর নির্মাণকারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, এলাকার এক ব্যক্তির কাছ থেকে তার দখলীয় রেলওয়ের ৫ শতক জমি ১ লাখ টাকায় কিনেছেন। তিনি আরো জানান, ওই ব্যক্তির দখলে রেলওয়ের ১ একর জমি রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট রেল বিভাগের কর্মকর্তারা অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব দোকানপাট ও দালানকোঠা স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করছে না। এ কারণে দখলদাররা আইনের তোয়াক্কা না করে রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে নির্ভয়ে দোকানপাট ও দালানকোঠা তৈরি করার সাহস পাচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (ডিইও) মোঃ নুরুজ্জামান জানান, উথলী ও আনসারবাড়ীয়ায় রেলওয়ের সম্পত্তি দখলের বিষয়টি জানা আছে। দ্রুত সময়ে রেলওয়ের পক্ষ থেকে নকশা অনুযায়ী জমি জরিপ করে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।