পাথরঘাটায় নীতিমালা ও শর্ত লংঘন করায়ইজারা বাতিলসহ জামানত বাজেয়াপ্ত

মেহেদী হাসান,পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মেসার্স ফারিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্বাধীকারি মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ হাটবাজার ইজারার বিধিমোতাবেক শর্ত পুরন নাকরায় নাচনাপাড়া হাটের ইজারা বাতিলসহ জামানত বাজেয়াপ্ত করতে বাধ্য হয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অসিফারসহ হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি।জানা গেছে বাংলা ১৪২৮ খ্রীষ্টাব্দের জন্য উপজেলার হাটবাজার ইজারা প্রদানের লক্ষে দরপত্র আহবান করলে গত ১৮  ফেব্রুয়ারি  উল্লেখিত ফয়সাল নাচনাপাড়া মানিকখালী বাজার জামানতসহ ৫৯ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫শত টাকায় ইজারা প্রাপ্ত হলেও তিনি ২৫ লক্ষ টাকা প্রদান করে বাকি ৩৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫শত টাকা পরিশোধ করার ব্যাপারে ব্যাপক টালবাহানা করেন। পাথরঘাটা উপজেলা ইউএনও অফিস সূত্রে জানা গেছে হাটবাজার ইজারার বিধি অনুযায়ী হাটবাজার ইজারা প্রাপ্ত হওয়ার ৭ দিনের মধ্যে সকল টাকা পরিশোধ করার কথা থাকলেও উল্লেখিত ইজারাদার ফয়সাল বাকি টাকা পরিশোধের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় তাকে ইউএনও অফিস থেকে অগনিতবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।তারপরেও টাকা পরিশোধের ব্যাপারে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন নাকরায় ১ মার্চ, ৭ মার্চ ও ১১ মার্চ তাকে লিখিত নোটিশ প্রদান করাসহ ১৪ মার্চ রেজিস্ট্রি করে ডাক যোগে তাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।কোন নোটিশের জবাব না পাওয়ায় ইজারাদার ফয়সালের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ১১ মার্চ হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ২৫ মার্চের মধ্যে উল্লেখিত বাকি টাকা উক্ত মেসার্স ফারিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্বাধীকারি মোঃ ফয়সাল পরিশোধ না-করলে তার প্রাপ্ত নাচনাপাড়া মানিকখালী বাজার ইজারা বাতিলসহ তার জামানত বাজেয়াপ্ত  করা হবে। পরে ২৫ মার্চের মধ্যে উক্ত ফয়সাল টাকা পরিশোধ না করে হাটবাজার ইজারা বিধি ভংগ করায়  পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি মেসার্স ফারিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্বাধীকারি মোঃ ফয়সালের প্রাপ্ত নাচনাপাড়া মানিকখালী বাজার ইজারা বাতিলসহ জামানত বাজেয়াপ্ত করতে বাধ্য হন। এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সাবরিনা সুলতানার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি হাট-বাজারসমূহের ব্যবস্থাপনা, ইজারা পদ্ধতি এবং উহা হইতে প্রাপ্ত আয় বন্টন সম্পর্কিত নীতিমালার ৩.৪ অনুচ্ছেদ মোতাবেক সরকারি রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে উক্ত দরপত্রটি বাতিল করা হয়েছে এবং জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যা প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধানের শতভাগ প্রতিপালনপূর্বক সম্পন্ন হয়েছে। এব্যাপারে ফয়সালের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন অামি নোটিশ পাইনী।