৮ বছরে বিক্রিত ভূমি দখল দিতে ব্যর্থ প্রতারক মোঃ ইসহাক উদ্দিন

মোঃ সালাউদ্দিন:-খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার ২২৭নং হাফছড়ি মৌজার হোল্ডিং নং ৬০/ক যাহার দাগ নং ৮৬ অন্তর্ভুক্ত নামজারী মামলা নং ৪২/৯৫ইং দলিল বন্ড নং৭০/৯৭ইং ৪(চার)একর, নামজারী মামলা নং১৬৩/১২ইং দলিল বন্ড নং১৭৪/১২ইং ০১(এক)একর দুই নামে সর্বমোট ০৫(পাঁচ) একর ভূমি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা প্রশাসকের আদেশ মুলে রাংলা মারমার নিকট হতে ক্রয় সূত্রে মালিকানা লাভ করে জয়নাল আবেদীন ও মোঃ ইসহাক উদ্দিনউদ্দিন ।

তদন্ত কালে স্থানীয় সূত্রে উপস্থাপনকৃত কাগজ পত্র মূলে দেখা যায় ক্রয় সূত্রে মালিকানা স্বত্বে মোঃ ইসহাক উদ্দিন গুইমারা উপজেলার ২২৭নং হাফছড়ি মৌজার ৬০/ক নং হোল্ডিং এ ৮০ নং দাগের ৪(চার) একর রেকর্ড ভুক্ত ৩য় শ্রেণীর জমি হইতে ২০/০৪/১৬ইং তারিখে ০.৪০ শতক, ০৬/০১/১৯ইং তারিখে ০৫ শতক, ২৮/০৩/১৭ইং তারিখে ০.২০ শতক সর্বমোট (০.৬৫ শতক)একর ৩য় শ্রেণীর ভূমি বিক্রি করে মোঃ আব্দুল আলীম ও কুলসুম বিবির কাছে।

বিক্রিত ভুমির দলিলে উল্লেখিত চৌহর্দ্দীর সাথে দখলীয় চৌহর্দ্দীর মিল না থাকায় চৌহর্দ্দী সংশোধন করত ভূমি পরিমাপ করিয়া বুঝাইয়া দিবে বলিয়া আশ্বস্ত করে।

পরবর্তীতে সঠিক চৌহর্দ্দী মোতাবেক ভূমি চিহ্নিত করিয়া পরিমাপের মাধ্যমে বুঝাইয়া দিতে তালবাহানা করিতে থাকে বিক্রেতা মোঃ ইসহাক।

এ বিষয়ে স্থানীয় হেডম্যান কার্বারী, চেয়ারম্যান মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তি রা একাধিক বার অনুরোধ করলে ও কখনো কর্ণপাত করেনি মোঃ ইসহাক।

জানা যায়,মোঃ ইসহাকের বিক্রিত ভূমি নিয়ে চার পাশের সীমানা ও চৌহর্দ্দী নিয়ে বিরোধ রহিয়াছে যে কোনো সময় ঘটতে পারে প্রাণনাশের ঘটনা।

খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার মিস্ত্রি পাড়া এলাকার মৃত মোঃ নুরুজ্জামানের ছেলে মোঃ ইসহাক ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা, চাকরির শুরুতে তেমন কিছু না থাকলেও বর্তমানে সম্পদের পাহাড় জেলার ভিবিন্ন উপজেলায় বিপুল পরিমাণে জমিজমার মালিক। তাঁর প্রতারণার শিকার জেলার অনেকে।

এলাকায় লোক জনের মুখে প্রায় শোনা যায় মোঃ ইসহাকের পরিচয় একজন (ইউ এনও ) সরকারি কর্মকর্তা তাঁর অনেক ক্ষমতা তিনি এলাকার মানুষ দেরকে সবসময় আতংকিত করে রাখে।

মোঃ ইসহাকের মাধ্যমে আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডএফের হুমকি দেওয়ার ব্যপারে ও কথা বলে সাধারণ মানুষ। যেকোনো সময় ঘটতে পারে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সহিংসতা, সম্প্রীতি বিনষ্টের আশংকা।

গত কিছু দিন আগে হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মোঃ ইসহাকের সাথে দেখা হয় ভূমি ক্রেতা মোঃ আব্দুল আলীমের ক্রয়কৃত ভূমি বুঝাইয়া দিতে বলিলে তাদের মধ্যে কথা কাটা কাটি হয়।

এক পর্যায়ে মোঃ আব্দুল আলীমের ক্রয়কৃত ভূমি বুঝাইয়া দিবে না বলিয়া চুরান্ত সিদ্ধান্ত দেয় মোঃ ইসহাক। ভিবিন্ন পর্যালোচনায় দেখা যায় প্রতারণার উদ্দেশ্যে জাল জালিয়াতি করে মোঃ ইসহাক।

ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এর ৬ ও ৯ ধারায় মামলার খবর পাওয়া যায়, মামলা নং ৫৬৭/২৩ স্থানীয় সূত্রে সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা যায় প্রতারণার উদ্দেশ্যে জাল জালিয়াতির কারণে দীর্ঘ ৮ বছরেও বিক্রিত ভূমি বুঝাইয়া দিতে পরে নাই প্রতারক মোঃ ইসহাক।

এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা ও সম্প্রতী বজায় রাখতে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আইনের সহায়তায় দ্রুত প্রতারক মোঃইসহাককে গ্রেফতার পূর্বক বিচারের আওতায় আনার দাবী করেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ২নং হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মংশে চৌধুরী ও ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ ইউনুস হাওলাদার বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে।

মৃত: জয়নাল আবেদীনের ছেলে জৈনক মোঃ জাকির হোসেন বলেন আমার বাবা ক্রয় সূত্রে মালিক আমরা এক একরের মালিক, মোঃ ইসহাক উদ্দিন চার একরের মালিক আমার দাবি এক একর, মোঃ ইসহাক উদ্দিনের দাবি রাংলা মারমার দখলীয় সকল ভূমি, রাংলা মারমা সহ ক্রেতা ও প্রতিবেশীরা চায় সঠিক চৌহর্দ্দী মোতাবেক সকলে ভোগ দখলে থাকতে এতে বারংবার বাধা সৃষ্টি করে মোঃ ইসহাক উদ্দিন। এই বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করেন ক্রেতা আব্দুল আলীম , কুলসুম বিবি ও এলাকার লোকজন।