৬০ বছর ধরে জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে ইউপির কার্যক্রম

৬০ বছর ধরে জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে ইউপির কার্যক্রম

লালমনিরহাট-প্রতিনিধি

কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) টিনশেড ঘরলালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কার্যক্রম চলছে আধা পাকা জরাজীর্ণ দুটি টিনশেড ঘরে। চেয়ারম্যান ও সদস্যরা একটি কক্ষে গাদাগাদি করে বসে চালাচ্ছেন পরিষদের কার্যক্রম।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দুইটি টিনশেড দোচালা ঘরের মধ্যে চলছে ইউপির কার্যক্রম। এর একটি গোডাউন ও সভার কাজে ব্যবহৃত হয়। চেয়ারম্যান ছোট্ট একটি কক্ষে বসে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করলেও গ্রাম আদালত পরিচালনা ও ইউপি সদস্যদের বসার কোনো কক্ষ নেই।

এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার বা মেরামত না হওয়া আধা পাকা টিনশেড জরাজীর্ণ ঘর দুটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

জানা গেছে, ১৯৬৪ সালে গোড়ল ইউনিয়ন বোর্ডকে ইউনিয়ন কাউন্সিলে পরিবর্তন করা হয়। আর এর জন্য এক একর জমির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সে সময়কার চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিন আহমেদের চেষ্টায় চাকলারহাট এলাকার হাফিজ উল্লাহ সরকার এক একর জমি দান করেন।

এর পর থেকে সেখানেই ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চলে আসছে। ২০০৪-২০০৫ অর্থ বছরে গোড়ল ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের বরাদ্দ আসলে সে সময় জমিদাতার ছেলে জমির মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা করেন। এতে কমপ্লেক্স নির্মাণের বরাদ্দ বাতিল হয়ে যায়। তিন বছর আগে মামলার বাদী মামলা প্রত্যাহার করে নেয়।

কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবু তৈয়ব মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘জমি নিয়ে যে সমস্যা ছিল তা সমাধান হয়েছে। ভবন নির্মাণের বিষয়ে একনেকে আবেদন করা হয়েছে।’

মোস্তাফিজুর রহমান  লালমনিরহাট।
০১৭১৪৬৭৯২২২