৫০০মিটার রাস্তার অভাব তাই আট কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয় এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার জাংগালীয়া ইউনিয়নের জাংগালীয়া গ্রাম ও মোক্তরপুর ইউনিয়নের বড়হরা দুইটি পাশাপাশি গ্রাম মাঝখানে আনুমানিক ৫০০থেকে ৬০০মিটার প্রসস্থ একটি বিল যা বর্ষা মৌসুমে পানির নিচে চলে যায় এখানে পায়ে হেটে চলার মতো কোন রাস্তা না থাকায় দুই গ্রামের লোক জনদের যোগাযোগ করার জন্যা ঘুরে যেতে হয় আট কিলোমিটার পথ।এই দুই গ্রামের মানুষদের একে অপরের সাথে যোগাযোগ করার জন্য জাংগালীয়া বাজার থেকে দালান বাজার হয়ে নোয়াপাড়া তারপর বড়হরা যেতে হয়।

অথবা জাংগালীয়া বাজার হইতে বাংগালগাঁও গিয়ে আজমতপুর গাজীপুর ইটাখোলা রাস্তাদিয়ে নোয়াপাড়া গিয়ে তারপর বড়হরা যেতে হয়। আবার বড়হরার লোকদের একই পথ অবলম্বন করে জাংগালীয়া আসতে হয়।এতে করে সময়ের সময় অপচয়ের পাশাপাশি অর্থের ও অপচয় ঘটে। অথচ জাংগালীয়া গ্রামের জনগনের সাথে বড়হরা গ্রামের লোকদের মধ্যে প্রাচীন কালথেকে ছিল নিবির আত্তিক সম্পর্ক। দুই গ্রামের মাঝে অবস্থিত বিলে উভয় গ্রামের লোকদের জমি থাকায় তারা পাশাপাশি মিলেমিশে তা চাষ করে বোরো মৌসুমে ফসল ফলায়।গড়ে উঠে থাকে তাদের মধ্যে ভাব।

কিন্তু বর্ষা এসে যখন তাদের এই জমি বর্ষার পানিতে তলিয়ে যায় তখন তাদের সেই ভাববিনিময়ে কিছুটা হলেও ভাটাপরে।কেননা গ্রামে একটি কথার প্রচলন আছে যে চোখের আড়াল তো মনের আড়াল।আর কায়া না দেখলে নাকি মায়া বাড়ে না।এক সময় বর্ষা মৌসুমে নিজস্ব ব্যাবস্থা পনায় তালগাছের কোনদা দিয়ে খেয়া নৌকার বিনিময়ে দুই পাড়ের লোকজন পাড়াপাড় হতো।

কালের পরিক্রমায় বর্ষার পানির সাথে অতিরিক্ত কুচোর পানা আসে যার বিতর দিয়ে নৌকা বা কুন্তা চালানো সম্ভব হয় না বিধায় তাও এখন বন্ধু হয়ে গেছে। কোন রাস্তা না থাকায় শুকনো মৌসুমেও জনগণ কে জমির আইল দিয়ে কষ্ট করে এক গ্রাম অন্য গ্রামে যাতায়াত করতে হয়।

এই দুটি পাশাপাশি গ্রামের জনগণর কষ্টের লাগব করার জন্য একটি পায়ে হাটার মাটির রাস্তা নির্মান করবেন বলে এই দুটি গ্রাম সহ অত্র এলাকার জনসাধারনের প্রত্যাসা।