৩ শিশুর সৃষ্টিশীল শিল্পকর্মে মুগ্ধ হলেন ইউএনও

মনিরুল ইসলাম, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : যেকোনো ইমারত নির্মাণ করতে যেমন প্রয়োজন হয় ইট-বালু-সিমেন্ট সহ নানা উপকরণ, তেমনি শিল্পকর্ম করতে কিংবা আঁকাতে প্রয়োজন সহ বিভিন্ন উপকরণ। প্রয়োজন হয় মেধা, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার। এক্ষেত্রে সুবিধা বঞ্চিত ৩ শিশু কোন অভিজ্ঞতা কোন উপকরণ ছাড়াই শুধুমাত্র বালু দিয়ে তৈরী করলো সৃষ্টিশীল শিল্পকর্ম। শিশুদের এমন সৃষ্টিশীল শিল্পকর্মে মুগ্ধ হয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।

পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী এ কর্মকর্তা বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলার বাইশারাবাদ এলাকার মুজিববর্ষের গৃহনির্মাণ কাজ পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনে গিয়েই নজরে আসে ওইখানকার পুরাতন আবাসনের সুবিধা বঞ্চিত কোমলমতি ৩ শিশুর সৃষ্টিশীল শিল্পকর্মের কাজ। তিনি দেখেন ৫/৬ বছর বয়সের ৩টি শিশু আবাসন চত্বরে বসে বালু দিয়ে শিল্পকর্ম তৈরী করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনেকক্ষন তাদের পাশে দাড়িয়ে তাদের নিপুন কারুকাজ উপভোগ করেন। শিশুদের নিপুন শিল্পকর্ম দেখে মুগ্ধ হন ইউএনও। এক পর্যায়ে তিনি শিশুদের সাথে আলিঙ্গন করে তাদেরকে এ ধরণের সৃষ্টিশীল কাজের জন্য উৎসাহিত করেন। ইউএনও’র ¯েœহভরা আলিঙ্গনে মমতার পরশ খুজে পান ৩ সুবিধা বঞ্চিত শিশু।

শিশুদের এ ধরণের কাজকে সৃষ্টিশীল শিল্পকলা উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, শিশুরা হচ্ছে কল্পনা শক্তির অসীম আঁধার। তাদের সরল প্রাণে যা ভেসে বেড়ায় তা তারা কর্মের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলে।

ইউএনও খালিদ হোসেন বলেন, আমি প্রথমে ভেবে ছিলাম শিশু ৩টি মনে হয় খেলা করছে। পরে এগিয়ে গিয়ে দেখি তারা একেবারে কোন হইচই ছাড়াই নিরবে নিবৃতে বালু দিয়ে শিল্পকর্মের কাজ করছে। আমি অনেকক্ষন দাড়িয়ে থেকে তাদের কাজ উপভোগ করছিলাম। কোন উপকরণ ছাড়াই তারা বেশ অনেকটা জায়গা জুড়ে দারুন এবং দৃষ্টিনন্দন শিল্পকর্ম তৈরী করে ফেলেছে। শিশুদের এমন নিপুন কারুকাজ দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছিলাম। সমাজে এ ধরণের অনেক প্রতিভাবান শিশু রয়েছে। এসব শিশুরা আধুনিক শিক্ষার সুযোগ পেলে কিংবা সমাজের মূল ¯্রােত ধারায় সম্পৃক্ত করতে পারলে ভবিষ্যতে এরা অনেক ভাল ভাল এবং চমৎকার শিল্পকর্ম উপহার দিতে পারবে। এ ধরণের প্রতিভাবান-সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের পাশে থাকার জন্য সমাজের দায়িত্বশীল মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ইউএনও খালিদ হোসেন।