২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জামজামিতে  গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহি লাঠি খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত 

আর জে রাজিবঃ

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাংগা উপজেলার জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। শনিবার (২৬শে মার্চ) জামজামি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রামবাংলার ঐতিয্য বাহি লাঠি খেলা।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে  আসা সাধারণ মানুষকে আনন্দ দিতে ও দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে আয়োজন করা হয় এ লাঠি খেলার।
কাঁসার শব্দে চারপাশে যেন উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
বাদ্যের তালে তালে নেচে নেচে লাঠি খেলে অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে লাঠিয়ালরা। খেলোয়াড়রা একে অপরের সঙ্গে লাঠি যুদ্ধে লিপ্ত হয়।
লাঠি দিয়ে অন্যের আক্রমণ ঠেকাতে থাকেন। আর এরই মধ্যে নিজের চেয়ে বড় লাঠি নিয়ে অদ্ভুত সব কসরত দেখিয়ে উপস্থিত সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন লাঠিয়ালরা।
আর লাঠিয়াল দলের ক্ষুদে এক লাঠিয়ালের কসরত দেখে অবির্ভূত হন প্রবীণ লাঠিয়াল। দল বেধে আগত দর্শকদের সালাম বিনিময় করেন।
এসব দৃশ্য দেখে আগত দর্শকরাও করতালির মাধ্যমে খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেন।
কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া এ লাঠি খেলা দেখতে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে হাজির হন নানা বয়সের মানুষ। ইট-পাথরের টুংটাং আওয়াজকে হার মানিয়ে কিছুটা হলেও পুরানো দিনের গ্রামীন চিত্ত বিনোদনের সুযোগ পান বয়ো-বৃদ্ধরা।
লাঠিয়াল মাসেম ও লাড্ডু বলেন, সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দ ও বিনোদন জোগাতে আমরা লাঠি খেলা দেখায়। এ খেলা আমাদের পূর্ব-পুরুষের। আমরাও আমাদের সন্তানদের এ খেলা শিখিয়েছি। যাতে তারাও এ খেলা দেখিয়ে মানুষকে আনন্দ দিতে পারে। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে গ্রামীণ ঐহিত্যবাহী এ খেলাটি টিকে থাকবে, না হলে হরিয়ে যাবে।
দর্শনার্থী বাবুল কাজী, ববিতা আক্তার, সালমা আক্তার কেয়া, মিজান মেম্বার,জাহাঙ্গীর মেম্বার,রজিব মেম্বার, দাউদ আলী জানান, মাঠের স্বল্পতার কারণে আমাদের শিশুরা ঘরমুখো। প্রথমবারের মত আমরা গ্রামিন এ খেলা দেখলাম।
জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব নজরুল ইসলাম বলেন, লাঠি খেলা গ্রামীণ ঐতিহ্যের একটি অংশ। পরিষদ চত্বরে  দিনবাপী স্বাধীনতাদিবস উপলক্ষে  দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে ও বাড়তি আনন্দ দিতে এ খেলার আয়োজন করা হয়েছে। তাদের চিত্ত বিনোদন দিতে ও ঐতিহ্যবাহী খেলাটি টিকিয়ে রাখতেই এ আয়োজন করা হয়।
ঐতিহ্য বাহি লাঠি খেলায় ১৬ দল অংশ গ্রহণ করেন। সিয়ামের দল প্রথম ও জিহাদের দল দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।ঐতিহ্য বাহি লাঠি শেষে পুরষ্কার বিতারন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নজরুল ইসলাম চেয়ারম্যান জামজামি ইউনিয়ন পরিষদ,জামজামী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা দিদার আলী মালিতা, সহ সভাপতি মোঃ দাউদ আলী, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাজিব সহ আরো অনেকে।