১১ মার্চ পবিত্র শবে মিরাজ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশের আকাশে শুক্রবারে কোথাও হিজরি ১৪৪২ সালের “পবিত্র রজব মাস” এর চাঁদের দেখা মেলেনি। যার ফলে বাংলাদেশের মুসলিম সম্প্রদায়কে আগামী ১১ মার্চ রাতে “পবিত্র শবে মিরাজ” পালন করতে হবে।

গতকাল শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আলতাফ হোসেন চৌধুরী এর সভাপতিত্বে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, সভায় সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বাংলাদেশের আকাশে শুক্রবার কোথাও হিজরি ১৪৪২ সালের পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি। যার ফলে শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পবিত্র জমাদিউস সানি মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে পবিত্র রজব মাসের গণনা শুরু হবে।

নিয়মানুযায়ী আগামী ২৬ শে রজব অর্থাৎ ১১ মার্চ দিবাগত রাতে শবে মিরাজ পালিত হবে।আমাদের দেশে লাইলাতুল মিরাজের রাতকে সাধারণত শবে মিরাজ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

ইসলাম ধর্ম মতে, মহানবি হযরত মুহাম্মদ (সা.) নবুয়ত প্রাপ্তির একাদশ বছরের (৬২০ খ্রিস্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে হযরত জিবরাইল (আ.) এর সাথে বোরাকে চড়ে পবিত্র কাবা থেকে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তম আকাশের ওপর আরশে আজিমে আল্লাহর দিদার লাভ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মুসলমানরা এবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে এ রাতটি উদযাপন করে থাকেন।

ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। ইসলাম ধর্মে শবে মিরাজের বিশেষ গুরুত্ব বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ শবে মিরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ সালাত (নামায) মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যকী বা অবশ্য পালনীয় (ফরজ) করা হয় এবং এ রাতেই মহানবি হযরত মুহাম্মদ (সা.) দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মুসলমানদের জন্য নিয়ে আসেন।

হাদিসে বলা হয়েছে, রজব মাসের শুরু থেকে নবী করিম (সা.) মুসলমানদের বেশি বেশি নেক কাজ করার তাগিদ দিতেন। কেননা রজব ও শাবান মাসের পরেই আসে রমজান মাস। এজন্য রাসুল (স.) মুসলমানদের বেশি বেশি করে একটি দোয়া পড়তে জোর তাগিদ প্রদান করেছেন। দোয়াটি হলো; “আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান”। অর্থাৎ- হে আল্লাহ আমাকে রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন আর রমজান পর্যন্ত আমাদের হায়াতকে বৃদ্ধি করে দেন।