হারানোর তালিকায় লাঙল-জোয়াল এর ব্যবহার

নাদিম আহমেদ অনিক, বিশেষ প্রতিনিধি:
প্রযুক্তিনির্ভর পৃথিবীতে পর্যায়ক্রমে নতুন-নতুন আবিষ্কারের উপস্থিতিতে হারানোর তালিকায় যোগ হতে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঙল-জোয়াল এর ব্যবহার। মুছে যাচ্ছে প্রাচীন পদ্ধতিগুলো। ঠিক তেমনী র্দীঘ দিনের ঐতিহ্যবাহী চাষাবাদ পদ্ধতিতে একটা সময় ছিল গরু, মহিষ, লাঙল, জোয়াল দিয়ে জমিতে হালচাষ করা হতো।

এই চাষাবাদের সাথে জরিয়ে আছে গ্রাম বাংলার হাজারে কৃষকের হৃদয়ের স্মৃতি।তবে নতুন প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে ট্রাক্টর কিংবা পাওয়ার টিলার এর মাধ্যমে করা হচ্ছে বর্তমান চাষ পদ্ধতি। তাই চোখে পরছেনা লাঙ্গলের চাষ। কাজেই হারানোর তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে লাঙ্গলের ব্যবহার। কমে যাচ্ছে লাঙল, জোয়াল এর উপস্থিতি।

বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ, এ দেশে প্রায় শতকরা ৮০% মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে কৃষি কাজের সাথে জরিত। লাঙ্গল জোয়ালে চাষাবাদ পদ্ধতি হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। বাংলার বৈচিত্র্য অনুসন্ধান করতে গেলে কৃষির বিভিন্ন উপকরনের মধ্যে অবশ্যই লাঙল জোয়াল অন্যতম একটি।

প্রযুক্তির আবির্ভাব কারণে লাঙ্গল দিয়ে হাল চাষের পরিবর্তনে বর্তমানে ট্রাক্টর কিংবা পাওয়ার টিলার ব্যবহৃত হচ্ছে জমি চাষে। এক সময় বাংলাদেশর বিভিন্ন জেলায় কৃষক শ্রেণি মানুষ গরু পালন করত এবং গরু, মহিষ দিয়ে হাল চাষাবাদ করত।

সভ্যতার অগ্রযাত্রা কারণে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যটি।দেশের শস্য ভান্ডার খ্যাত উত্তরের বৃহত্তর জেলা নওগাঁয় লাঙল দিয়ে জমি চাষ এখন আর খুব একটা চোখে পড়ে না। আধুনিকতার কারণে ঐতিহ্যবাহী এ চাষাবাদ পদ্ধতি প্রায় বিলুপ্তি পথে।

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের আবুল কাশেম সহ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বললে তারা বলেন, একটা সময় সেই কাক ডাকা ভোরে কৃষকরা গরু, মহিষ নিয়ে এবং কাঁধে লাঙল-জোয়াল নিয়ে বেরিয়ে পড়তো মাঠের জমিতে হালচাষ করার জন্য।

বর্তমানে আধুনিকতার স্পর্শে ও বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে কৃষকদের জীবনে এসেছে নানা পরিবর্তন। আর সেই পরিবর্তনের ছোঁয়াও লেগেছে কৃষিতে। তাই সকালে কাঁধে লাঙল-জোয়াল নিয়ে মাঠে যেতে আর দেখা যায় না কৃষকদের।