হবিগঞ্জ শহরে কসাইদের প্রতারণা হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য দেখার কেউ নেই

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের কসাইদের প্রতারণা হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য হবিগঞ্জ শহরের হাট বাজারে অবাধে প্রতিনিয়তই জবাই করে বিক্রি করা হচ্ছে অসুস্থ ও রোগা গরু-ছাগলের মাংস। এক শ্রেণীর অসাধু মাংস ব্যবসায়ী সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে চালিয়ে যাচ্ছে এ ধরনের ব্যবসা শুধু অসুস্থ ও রোগা গরু-ছাগলের মাংসই নয় অনেক মাংসের দোকানে গরুর চামড়া সামনে প্রদর্শন করে আড়ালে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে মহিষের মাংস।

আবার কোন কোন দোকানে বাসি গরুর মাংসে লাল রং দিয়ে কৃত্রিম রক্ত তৈরি এবং ভারতীয় মহিষের মাংস গরুর মাংস বলে বিক্রির করা অভিযোগ রয়েছে। আর এসব মাংস খেয়ে প্রতিনিয়তই অসুস্থ হচ্ছেন অনেকেই
এছাড়াও নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে মাংস বিক্রির অভিযোগও রয়েছে শহরের শায়েস্তানগর ও চৌধুরীবাজারের কয়েকজন মাংস বিক্রেতার বিরুদ্ধে। গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কিছু অসাধু কসাই চক্র কাজ করছে তাদের এজেন্ট হিসেবে।

হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে রোগা ও অসুস্থ গরু কম দামে ক্রয় করে রাঁতের আধারে জবাই করে মাংস ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করছে এ চক্রটি। সাধারণ ক্রেতাদের কাছে মাংস বিক্রির পাশাপাশি হবিগঞ্জ শহরের কয়েকটি হোটেল রেস্তোরাঁয় গরুর মাংসের নামে সরবরাহ করা হয় অস্বাস্থ্যকর মহিষের মাংস। অস্বাস্থ্যকর এসব মাংস রান্না করে ভোক্তার কাছে বিক্রি করা হচ্ছে গরুর মাংসের দামে। বিশেষ একটি চক্র ‘অন কলে’ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে অনেকটা গোপনীয়তা রক্ষা করে। বিশেষ করে খাবার অযোগ্য এসব মাংস মানব স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি মিথ্যা গরুর মাংস বলে অধিক লাভবান হচ্ছে এ চক্রটি।

সরেজমিনে দেখা যায় হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর সিনেমাহল চৌধুরী বাজার বগলা বাজারসহ আরও কয়েকটি এলাকায় নিয়মিত চলছে এ রকম অসাধু ব্যবসা। নিয়ম অনুযায়ী গরু জবাই করার পুর্বে গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার কথা থাকলেও নিয়মনীতির ধারে কাছেও নেই তারা। তাছাড়া অনেক মাংস বিক্রেতাদের সাথে গরু চোরদের রয়েছে সখ্যতা চোরাইকৃত গরু রাতের আধারে জবাই করে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে যে কারণে জেলার বিভিন্ন স্থানে বাড়ছে গরু চুরি।

এদিকে, সম্প্রতি হবিগঞ্জ শহরের কয়েকটি হাট বাজারে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে জরিমানা করা হলেও তাতে কাজের কাজ হচ্ছে না কিছুই এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা জানান, ইদানিং বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। যদি কোন মাংস বিক্রেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যায় তা হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে এ নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তৎপর রয়েছে বলেও জানান তিনি।