হজের সময়ে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী বিমান ভাড়ার সুযোগ নিশ্চিত করুন

হজ পালনে প্রতীক্ষারত ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। এ বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হতে যাচ্ছে আগামী মাসেই। চলবে টানা এক মাসের বেশি সময় ধরে। সে হিসাবেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে হজ ফ্লাইট উদ্বোধনের। দীর্ঘ দুই বছর স্থগিত থাকার পর এবারের হজের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল আগেই। এখন কেবল আনুষ্ঠানিকভাবে হজ ফ্লাইট ঘোষণার পালা। চলতি সপ্তাহেই সৌদির সঙ্গে হজবিষয়ক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে। এরপর হজের প্যাকেজ ঘোষণা ও বিমানের সিডিউল বিস্তারিত জানা যাবে। চলতি বছর ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন বাংলাদেশ থেকে হজ করার সুযোগ পাবেন। তবে ৬৫ বছরে উর্ধে কোন ব্যক্তি হজে যেতে পারবেন না। সে হিসেবে বর্তমানে ২০২০ সালে নিবন্ধিত হয়ে থাকা ৫২ হাজার হজযাত্রী থেকে ১০ হাজারেরই বাদ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।


পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে এবারও সব হজযাত্রী বহন করবে দুটো এয়ারলাইন্স। সৌদি আরবের সাউদিয়া এয়ার এবং বাংলাদেশের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। অবশ্য হজ এজেন্সিগুলো ‘প্রতিযোগিতামূলক ভাড়ার পরিবেশ সৃষ্টি করতে’ অন্যান্য এয়ারলাইন্সকেও হজ যাত্রী পরিবহনের সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে হজ ব্যবস্থাপনায় কাক্সিক্ষত সাফল্য অর্জন এবং সর্বোপরি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের প্রেক্ষাপটে থার্ড ক্যারিয়ার উন্মুক্ত করার জন্য দুই মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দিয়েছে হাব। সংগঠনটির সভাপতি বলেছেন, ‘আগে বাংলাদেশ থেকে অনেক এয়ারলাইন্স হজ ফ্লাইট পরিচালনা করত। তখন ভাড়া নিয়ে অসন্তোষ ছিল না। জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি-২০১৯ এর ১০.১.১ ধারায় থার্ড ক্যারিয়ার চালু করার বিষয়েও স্পষ্ট বিধান রয়েছে।’
করোনার কারণে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো কিছুটা সঙ্কটকালের ভেতর দিয়েই যাচ্ছে। হজ তাদের সামনে একটি সুযোগ এনে দিয়েছে হজযাত্রীদের পরিবহনের মাধ্যমে পেশাগত ক্ষতি পুষিয়ে আনার। সরকার এক্ষেত্রে সার্বিক বিচার বিবেচনা করে উদ্যোগী হতে পারে, এমনটাই প্রত্যাশা। এতে হজযাত্রী সেবায় যেমন ইতিবাচকতা আসবে, তেমনি প্রতিযোগতিামূলক বিমান ভাড়ার সুযোগও বহাল থাকবে। এতে হজযাত্রীরাও অধিক লাভবান হবেন।
পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, অন্তত দুদেশে থাকা এয়ারলাইন্সের সংখ্যা বাড়ানো যেতেই পারে। তাতে শুধু যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করাই নয়, সিডিউল জটিলতা থেকেও মুক্তি পাবে হজ ব্যবস্থাপনা। আমরা করোনার আগেও দেখেছি যে, হজযাত্রীরা নানা বিপাকে পড়েন। অনেক সময় ফ্লাইট শিডিউল নিয়েও জটিলতা দেখা দেয়। হজের সময়ে নিরাপদ নির্বিঘ্ন ও সাশ্রয়ী বিমান ভাড়ায় হজ পালনের সুযোগ নিশ্চিত করাই প্রধান বিবেচ্য। সবদিক পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিচার বিবেচনা করে হজযাত্রীদের স্বার্থের দিকটিকেই অধিক প্রাধান্য দিয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেয়াটাই হবে সমীচীন।