সড়ক-মহাসড়ক-ফেরিঘাটে তীব্র যানজট, চরম ভোগান্তিতে চালক ও যাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : কোভিড-১৯ মহামারীর সংক্রমণকে উপেক্ষা করে পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে আজও ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে। রাজধানীর সব বাস টার্মিনালে রয়েছে ভিড়। সড়ক-মহাসড়ক ও ফেরিঘাটে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় বেড়েছে। একইসাথে বেড়েছে যানবাহনের চাপ।

যানজটে গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগছে কয়েক গুণ বেশি। এদিকে, মহাসড়কে যানজট থাকায় নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় পৌঁছাতে পারছে না বাস।

এতে দীর্ঘ সময় কাউন্টারে অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। বাস টার্মিনালের আশেপাশের সড়কেও রয়েছে যানজট।

জানা যায়, যানজটে শত শত গাড়ি আটকা পড়েছে। তীব্র গরমে যাত্রীদের নাভিশ্বাস উঠার মতো অবস্থা। কাছাকাছি দূরত্বের যাত্রীরা বাস থেকে নেমে হেঁটেই গন্তব্যে রওয়ানা হয়ে যান।

ভোর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ির দীর্ঘ সাড়ির সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে টাঙ্গাইলের শহরের বাইপাস পর্যপ্ত তৈরি হয় ২৫ কিলোমিটার যানজট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।

যানজট নিরসনে কাজ শুরু করেছে হাইওয়ে পুলিশ। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলার কথা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না।

গাড়িতে দুই আসনে একজন যাত্রী বসানোর নিয়ম থাকলেও পরিবহণ শ্রমিকরা তা মানেননি। কিছু দূর পরপরই যাত্রী তুলেছেন আবার নামিয়েছেন। করোনার মধ্যে এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে ফিরতে হচ্ছে।

এদিকে, নদীতে স্রোত ও পশুবাহী ট্রাকের চাপে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের ৫ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত পারের অপেক্ষায় রয়েছে যানবাহন।

এর মধ্যে বেশিরভাগই পশুবাহী ট্রাক। একই অবস্থা মুন্সিগঞ্জ শিমুলিয়া ঘাটে। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই গাদাগাদি করে ফেরি, লঞ্চে পার হচ্ছেন যাত্রীরা।

এদিকে, রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে আন্তঃনগর ট্রেন। এসব ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা দেখা গেলেও একেবারে উল্টোচিত্র লোকাল ও কমিউটার ট্রেনে। এসব ট্রেনে গাদাগাদি করে চলাচল করছেন যাত্রীরা।