স্বাস্থ্যমন্ত্রী মালেকের কথা, মুটিয়ে যাচ্ছেন দেশের নারীরা

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মালেকের কথা, মুটিয়ে যাচ্ছেন দেশের নারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের ১৫-৪৯ বছর বয়সী নারীদের মুটিয়ে যাওয়ার হার বেড়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কথা অনুযায়ী, এই বয়সসীমার নারীদের অতি ওজনের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩২ শতাংশ। ২০০৭ সালে এটি ছিল ১২ শতাংশ।
তবে আশার কথা হচ্ছে, অপুষ্টির কারণে নারীদের কম ওজন থাকার প্রবণতাও কমে এসেছে।
জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব তথ্য জানিয়েছেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজি মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের কম ওজনের ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি অতি ওজনের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩২ শতাংশ।’
বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভিসের (বিডিএইচএস) পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের অপুষ্টির কারণে কম ওজন ২০০৭ সালে ছিল ৩০ শতাংশ, ২০১৭-১৮ সালে এসে সেটা কমে হয়েছে ১২ শতাংশ।
২০০৭ সালে অতি ওজন ছিল ১২ শতাংশ নারীর। ২০১৭-১৮ সালে এসে দেখা যাচ্ছে, সেটা বেড়ে হয়েছে ৩২ শতাংশ।
তবে পুষ্টি নিয়ে দেশের সব মানুষের অবস্থান জানাতে পারেননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘পুষ্টিহীনতা বিষয়ে সর্বজনীন (সব বয়সের) মানুষের নির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই।’
৫ বছর বয়স পর্যন্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে খর্বাকৃতির হার ১২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের।
খর্বাকৃতি শিশুর হার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি, ২০৩০) অনুযায়ী ১২ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে হবে। ২০১৭-১৮ সালে তা ৩১ শতাংশে নামানো সম্ভব হয়েছে, ২০০৭ সালে যা ছিল ৪৩ শতাংশ।
এসডিজি অনুযায়ী কৃশকায় শিশুর সংখ্যা ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার কথা থাকলেও ২০১৭-১৮ সালের মধ্যে রয়েছে ৮ শতাংশে। অবশ্য ২০০৭ সালে এটি ছিল ১৭ শতাংশে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, কম ওজনের শিশু ১০ শতাংশের নিচে নামানোর কথা রয়েছে, ২০০৭ সালে যা ছিল ৪১ শতাংশ। অবশ্য ২০১৭-১৮ সালে তা কমে হয়েছে ২২ শতাংশ।
অতি ওজনের শিশু ১ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ২০১৭-১৮ সালে তা দাঁড়িয়েছে ২ শতাংশে। তারও ১০ বছর আগে তা ছিল ১.১ শতাংশ।