স্বামী পিপিএম, স্ত্রী বিপিএম

এম হাসান মুসাঃ মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে পুলিশ সপ্তাহ। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) সাহসিকতা ও সেবা এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম) সাহসিকতা ও সেবা পদক দেয়ার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। পদক পাওয়া ১১৫ জনের মধ্যে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (পুলিশ সুপার পদমর্যাদা) সুনন্দা রায় পেয়েছেন বিপিএম সেবা এবং তার স্বামী বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী পেয়েছেন পিপিএম সেবা পদক।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পুলিশ দম্পতির মধ্যে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে পদক পাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। এর আগে পুলিশে কর্মরত একাধিক দম্পতি পদক পেলেও ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পেয়েছেন। আবার স্বামী-স্ত্রী একই পদমর্যাদারও ছিলেন না।

বগুড়ার পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে অনেক বড় একটি অর্জন। আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই নিষ্ঠার সঙ্গে আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি। কর্তৃপক্ষ আমাদের কাজে খুশি হয়ে আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। আমাদের মানুষের সেবার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আমরা দুজনই মানুষের সেবায় আরও বেশি নিবেদিত হতে চাই।’

সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা দুজন যেহেতু একই পেশায়, আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সংসার ও সন্তানদের লালন-পালন করার পাশাপাশি পুলিশি দায়িত্ব পালন করা। আমরা দুজনই সেটি ভাগ করে সংসার ও পুলিশি দায়িত্ব পালন করেছি। কর্তব্যকাজে আমরা কখনো অবহেলা করিনি।’

পুলিশ সুপার দম্পতি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী ও সুনন্দা রায় দুজনই বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তারা দুজনই দীর্ঘদিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০২২ সালে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ১৫ জন পুলিশ সদস্যকে বিপিএম ও ২৫ জনকে পিপিএম পদক দেয়া হবে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের জন্য ২৫ জনকে বিপিএম সেবা পদক ও ৫০ জনকে পিপিএম সেবা পদক দেয়া হবে। আগামী মঙ্গলবার ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে কুচকাওয়াজ প্রদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদকপ্রাপ্তদের পদক দেবেন।