সৌদি প্রবাসী মৃত্যু পরিবারের দাবী হত্যা

মোঃআরিফুল ইসলাম, নাগরপুর প্রতিনিধি ঃ

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সৌদি প্রবাসী নবীনের (২৬) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবী হত্যা। নবীন উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের চামটা গ্রামের পরশ আলীর ছেলে। সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে নবীন গত প্রায় ২বছর ৮ মাস আগে সৌদি আরবের জেদ্দায় যায়।গত ২৯ নভেম্বর রোজ সোমবার আনুমানিক রাত ১২ দিকে তার মৃত্যুর সংবাদ আসে। মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারের উপার্জন মুখী বড় ছেলেকে হারানোর শোকে বাকরুদ্ধ বাবা মা। তিন বছরের অবুঝ শিশু কন্যাকে কোলে নিয়ে শোকে পাথর হয়ে গেছে নবীনের স্ত্রী।

সৌদি প্রবাসী মৃত্যু পরিবারের দাবী হত্যা

পরিবার সূত্রে জানান যায়, ২০১৯ সালে বলদিয়া ভিসায় সৌদি আরবের জেদ্দায় সীডার গ্রুপ কোম্পানীতে যোগদান করেন । দীর্ঘ ২ বছর ৮ মাস কাজ করার পরে সেখান থেকে একই এলাকার পান্নু মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী মো. বাবুল মিয়া (৩৫) অধিক বেতনের লোভ দেখিয়ে নভেম্বর মাসের ২৩ তারিখে জেদ্দা থেকে রিয়াদে নিয়ে আসেন। এর পর বাবুল মিয়া সহ কয়েক জন মিলে নবীনকে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখায়।

বিষয়টি নোবীন ফোন করে তার পরিবার কে জানায়। এদিকে বাবুল নবীনের পরিবারের কাছে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করেন। নোবীনের অসহায় পিতা পরশ আলী নিরুপায় হয়ে ধারদেনা করে বাবুলের পিতা পান্নুর কাছে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে তার ছেলে কে আগের জায়গায় ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। বাবুল বাকী ২ লক্ষ টাকার জন্য পরশ আলীকে চাপ দিতে থাকে।

এলাকাবাসী জানান, বাবুল তার পিতা পান্নুর মাধ্যমে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা চায়। পরশ আলী ৮০ হাজার টাকা দেয়। বাকী ২ লক্ষ টাকার জন্য চাপ দিলে আমরা কয়েকজন গ্রামবাসী মিলে পান্নুর কাছে যাই। তাকে বলি যে, টাকা যা লাগে আমরা দিবো তবু নবীনের জানি কোন ক্ষতি না হয়। ২৯ নভেম্বর বিকেলে পান্নু বলে নবীনের মাথা ফেটে গেছে। তার কিছুক্ষন পরে বলে নবীন ফাঁসি নিছে হাসপাতালে আছে। পরে রাত ১২ দিকে খবর দেয় নবীন মারা গেছে।

নোবীনের পিতা পরশ আলী বলেন, আমার কাছে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করে বাবুল। আমি ছেলের জীবন বাঁচানোর জন্য ধারদেনা করে ৮০ হাজার টাকা বাবুলের পিতা পান্নুর কাছে দেই।

এ বিষয়ে বাবুলের পিতা পান্নু মিয়া বলেন, আমার ছেলে সম্পূর্ণ নির্দোষ। পরশ আলী তার ছেলে নবীনের চিকিৎসার জন্য ৮০ হাজার টাকা দিছে। আমার ছেলে যদি কোন অপরাধ করে থাকে তাহলে ওই দেশের আইন অনুযায়ী বিচার হবে।