সৌদিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আমিরাতকেও হুমকি ইরানের

সৌদি আরবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানপন্থি ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। রবিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে সৌদির দক্ষিণাঞ্চলে এ হামলা চালানো হয়। এর আগে খামিস মুশাইত এলাকায় একটি হুতি সশস্ত্র ড্রোন ও দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে সৌদি জোট।খবর আরব নিউজের।হুতিদের হামলার কয়েক ঘণ্টা পর অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ নিয়ে আমিরাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দিয়েছে ইরান।সম্প্রতি ইরানি নৌবাহিনীর মহড়াগুলোতে এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র দেখা গেছে যা ভূগর্ভস্থ লঞ্চার থেকে এসেছে। এটি নতুন ছিল।ইরানের দৈনিক কায়হান পত্রিকা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মারাত্মক বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। যার মধ্য দিয়ে নিরাপত্তার ওপর নির্ভরশীল এই ছোট সমৃদ্ধ দেশটি একটি বৈধ ও সহজ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক কারাসিক আরব নিউজকে বলেন, ইরান ইতিমধ্যেই ইরাক ও ইয়েমেনে তার ছায়া বাহিনীর মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সৌদি আরবের বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। নতুন হুমকি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যাস্থতায় ইসরাইল-আমিরাতের মধ্যে চুক্তি অনুষ্ঠিত হয়। আঞ্চলিক শক্তি ইরানের বিরুদ্ধে সমর্থন বাড়াতেই এমন উদ্যোগ বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

এদিন টেলিভিশনে দেয়া বক্তৃতায় এ অঞ্চলে শক্ত অবস্থান নিয়ে ইসরাইলকে চেপে বসতে সুযোগ দেয়ার বিরুদ্ধে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সতর্ক করেন রুহানি।তিনি বলেন, তাদের (আমিরাত) সতর্ক হওয়া ভালো। ইতিমধ্যে তারা বিশাল ভুল করেছে। বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ কাজ করেছে। আমার প্রত্যাশা, তারা বুঝতে পারবেন এবং ভুল পথ পরিত্যাগ করবেন।

রুহানি বলেন, নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের আরেক দফা বিজয় নিশ্চিত করতে এই চুক্তি করা হয়েছে। যে কারণে ওয়াশিংটন থেকে এই চুক্তির কথা ঘোষণা করা হয়।

এখন কেন ঘোষণাটি এসেছে প্রশ্ন রেখে ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, যদি এটি কোনো ভুল চুক্তি না হতো, তাহলে তৃতীয় আরেকটি দেশে বসে কেন ঘোষণাটি দেয়া হয়েছে? আমেরিকায় একজন যাতে নির্বাচনে জয়ী হতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে আমিরাত তাদের দেশের লোকজন, মুসলমান ও আরব বিশ্বের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।