সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যানের যত অনিয়ম; অভিযোগ হলো দুদকে

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান মীনহাদুজ্জামান লীটনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছে। জাতীয় পরিবেশ ও মানবাধিকার সোসাইটির পক্ষ থেকে এ অভিযোগ দাখিল করা হয়। অভিযোগের সত্যতায় তদন্ত শুরুর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।
অভিযোগে বলা হয়, লীটন তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে সোনাতলা উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দফতরে সরকারি বরাদ্দ উৎকষের বিনিময়ে বন্টন করেন,যার প্রমাণও সংযুক্ত করা হয়েছে।লিটন, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সোনাতলাকে  সন্ত্রাসের নগরীতে পরিণত করেছে। রয়েছে নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী। তার বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে অমানষিক নির্যাতন।সেইসাথে মামলা দিয়ে পুলিশি হয়রানী করেও ক্ষ্যান্ত হন না এই উপজেলা চেয়ারম্যান। ক্যাডার বাহিনীকে ব্যবহার করে উপজেলার গাঁড়ামারা গ্রামের বাসিন্দা ছাখাওয়াত হোসেন মন্ডলের পুকুর থেকে ১ কোটি ২৬ টাকার মাছ লুট করার অভিযোগ রয়েছেই এই লিটনের বিরুদ্ধে।এ ঘটনায় সাংবাদিক সম্মেলন করলে লিটনের ক্যাডার বাহিনী ছাখাওয়াতকে এলাকা ছাড়া করে। এছাড়াও বালুয়াহাটের পাতিলাকুড়ায় সরকারি ১০০ বিঘা খাস জমি দখল করে পুকুর বানানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

পেশায় একজন আইনজীবী হলেও প্রায় ২০ বছর ধরে সোনাতলা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের পদ জোরপূর্বক দখল করে আছেন।সেই ক্ষমতার অপব্যবহার করেই কলেজের শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগেও বাগিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা।
রয়েছে জনপ্রতিনিধির স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগও।সোনাতলার পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নান্নুর স্বাক্ষর জালিয়াতি করেন তিনি। যার অভিযোগ করেন খোদ পৌর মেয়র নান্নু।
তবে, বড় বোন একই আসনের সাংসদ হওয়ায় অনেকটা আইন কানুনের থোরাই কেয়ার করেন এই লিটন, তাই শত অনিয়ম করেও এখনো রয়েছেন ধরাছোওয়ার বাইরেই।