সোনাইমুড়ী স্টেশনের যাত্রী পরিসেবার মান উন্নয়ন কাজের শুভ উদ্বোধন করে-সাংসদ ইব্রাহিম

মোঃ বেল্লাল হোসেন নাঈম, স্টাফ রিপোর্টারঃ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী রেলওয়ে স্টেশনের যাত্রী পরিসেবার মান উন্নয়ন কাজের ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন করা হয়।
শুক্রবার ১২নভেম্বর বিকালে সোনাইমুড়ী রেলওয়ে স্টেশনের যাত্রী পরিসেবার মান উন্নয়নের উদ্বোধন ও আলোচনা সভায়
মহাব্যবস্থাপক রেলওয়ে (পূর্ব) চট্টগ্রাম জাহাঙ্গীর হোসেন সভাপতিত্বে মাহফুজুর রহমান ভিপি বাহারের সঞ্চালনায় পবিত্র হাফেজ আবু বকর দুলাল পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী-১ চাটখিল সোনাইমুড়ী আসনের সংসদ সদস্য, রেলপথ ও ধর্মমন্ত্রণায়ে সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এইচ এমন ইব্রাহিম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের  প্রধান প্রকৌশলী (পূর্ব) চট্টগ্রাম মোঃ সুবক্তগীন।
সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলুল হক।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আবদুল হাই, সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক-আফম বাবুল, সোনাইমুড়ী পৌর-প্যানেল চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, আবুল আউয়াল প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম, সিলেট সরাসরি ট্রেন চলাচলের দাবি, সোনাইমুড়ী স্টেশনে টিকেট বৃদ্ধি, সম্প্রসারিত কাজে কোন দূর্নীতি অনিয়ম না হয়, যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে।
সভাপতির বক্তব্যে বলেন
মজিববর্ষ উপলক্ষে পূর্ব পশ্চিম অঞ্চলের ২৭টি স্টেশনের মান উন্নয়নে কাজের কথায় ছিলো, ২৭টির মধ্যে সোনাইমুড়ী স্টেশন ছিলো না,  এমপির উদ্যোগেই আপনাদের সোনাইমুড়ী স্টেশনের উন্নয়নের কাজ চলমান। লাকসাম থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত রেলওয়ে পথের উন্নয়ন, সোনাইমুড়ী স্টেশনের ভবনের উন্নয়ন, উপকুল এক্সপ্রেসের কোর্সগুলো পরিবর্তন করে নতুন কোর্স দিবো, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ২য় উপকুল এক্সপ্রেসের চালু হবে।
প্রধান অতিথি বলেন, ১৯০৩ সালে সোনাইমুড়ী স্টেশনের মাত্রা শুরু কিন্তু দুঃখের বিষয় দেশের রেলওয়ের এত উন্নয়ন হলেও এ স্টেশনের উন্নতি হয়নি রেলস্টেশনের উন্নয়নে সব কাজ করা হবে। উপকুল এক্সপ্রেসের কোচগুলো পরিবর্তন করা হবে, আগামিতে যদি বাংলাদেশ একটি নতুন ট্রেন উদ্বোধন হয়, তা হলে নতুন ট্রেন টি নোয়াখালী রোডে চালু হবে ইনশাআল্লাহ। সোনাইমুড়ী স্টেশনকে আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে গঠিত হবে, যাহারা রেলওয়ের সম্পত্তি দখল করে স্হাপনা নির্মাণ করে আছেন, দয়া করে ২মাসের মধ্যে রেলওয়ের সম্পত্তি ছেড়ে দিন না হলে কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান করে জমিন উদ্ধার করবে, তাই সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।