সিলেটে মা ও ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যা: সৎ ছেলে আটক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিলেট শহরতলির শাহপরান থানা এলাকার বিআইডিসি মহল্লার একটি বাড়ি থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঐ বাড়িটিতে শোয়ার ঘরের বিছানায় পড়ে থাকা মা ও ৯ বছর বয়সী এক মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি আঘাতের চিহ্নও ছিল। এছাড়াও ঐ মা-মেয়ের লাশের পাশেই মাত্র সাত বছরের এক শিশু ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় কাতরাচ্ছিল। এরপরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২ টার দিকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পুলিশ বাহিনীর সুত্রে জানা যায়, লাশ উদ্ধার করার সময় ওই বাড়ি থেকে রক্তমাখা একটি ছোরাসহ এক কিশোরকে (১৭) আটক করা হয়েছে এবং ওই কিশোর নিহত নারীর সৎপুত্র। নিহত নারীর নাম রুবিয়া বেগম (৩০) ও তাঁর মেয়ের নাম মাহা বেগম (৯) ও ছেলের নাম তাহসিন (৭)। তাহসিন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

পুলিশ বাহিনীর সূত্রে আরও জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের সময় রুবিয়া বেগমের স্বামী আবদাল হোসেন (৪২) বাড়ির পাশেই মুদিদোকানে ছিলেন। তিনি মুদি ব্যবসায়ী।

শাহপরান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়িতে যান।

তিনি আরও জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে সৎমা-ভাই-বোনকে দা দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে কিশোর। এতে ঘটনাস্থলে মা-মেয়ে মারা যান। এমনকি ঐ দুজনের পুরো শরীরে এলোপাতাড়ি কোপ ও ছুরিকাঘাতের চিহ্নও রয়েছে। এরপর শয়নকক্ষের খাটের তোশকে আগুন ধরিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেওয়ার সময় পুলিশ ঐ কিশোরকে আটক করেছেন।