সিরাজগঞ্জে বাবা কর্তৃক ধর্ষণ : ধর্ষক আটক

আব্দুর রহমান, সিরাজগঞ্জ থেকেঃ সিরাজগঞ্জে বাবা কর্তৃক মেয়ে ধর্ষণ করায় পাষান্ড বাবা দবির উদ্দিন (৪২) কে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষক দবির উদ্দিন তাড়াশ উপজেলার মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নে চর হামকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। এবিষয়ে তাড়াশ থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দবির উদ্দিন পেশায় একজন কৃষক তিনি তার বড় মেয়েকে হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে ও নানা প্রলোভনে তাকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে।দবির উদ্দিনের স্ত্রী মাঠের কাজে নিয়োজিত থায়াকার সময় তিনি সুযোগ বুঝে এই জঘন্য কাজে লিপ্ত হতেন।বড় মেয়েকে কয়েক বছর আগে একই এলাকায় বিয়ে দেন দবির উদ্দিন। ঈদের দুই দিন আগে পূর্বের কৌশলেই তার স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী ছোট মেয়েকে পাষণ্ড দবির উদ্দিন জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। এ ঘটনাটি তার বড়বোন জানার পর ফাঁস হয়ে যায় দাবির উদ্দিনের অপকর্ম। এ ঘটনায় মেয়ের মা বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে স্বামীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ বুধবার বিকেলের দিকে পার্শ্ববর্তী সলঙ্গা থানার দবিরগঞ্জ নামক এলাকা থেকে আটক করে। ।জানাযায়, গত ১৬ আগস্ট মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আমাদের ধর্ষণ করতো বাবা’ শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে জানানো হয়, তখন সে ১০-১২ বছরের শিশু। তার বাবা দবির উদ্দিন (৪২) তাকে ধর্ষণ করতে থাকেন। এভাবে কেটে যায় দীর্ঘ সাড়ে চার বছর। মেয়েটির বিয়ের পর তার বাবার বিকৃত যৌন লালসা থেকে রক্ষা পায়। তারা দুই বোন। এখন তার যে বোনটি বাড়িতে আছে, সে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। তার বয়সও ১০-১২ বছর, সেই মেয়েটিকেও নির্মম যৌন নির্যাতন করা ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তার বাবা দবির উদ্দিনের বিরুদ্ধে।গত কোরবানির ঈদের ৪-৫ দিন আগে দবির উদ্দিন দিনের বেলায় তার ছোট মেয়েকে ধর্ষণ করার জন্য নির্যাতন করতে থাকেন। মেয়েটি ভয়ে ও আতংকে কাঁদতে শুরু করে। তখন তার বাবা তার বড় বোনের স্বামীর মোবাইলে ফোন দেয়। শেষ পর্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রকাশ পায় নিজ বাবা কর্তৃক দুই শিশুকন্যাকে পৈশাচিক যৌন নির্যাতনের লোম হর্ষক তথ্য।এদিকে এ ঘটনার জেরে দবির উদ্দিনের পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আতিকুল ইসলাম বুলবুল।