সাভারে সাবেক সেনা সদস্য হত্যার ১ মাস পর গ্রেফতার ৩

খোরশেদ আলম, সাভার প্রতিনিধি: সাভারে সাবেক সেনা সদস্যে ফজলুল হক হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাইভেটকারে যাত্রী উঠিয়ে ছিনতাই চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়।

আটকরা হলো- পাবনা জেলার আমিনপুর থানার টাংবাড়ি গ্রামের আব্দুস সাত্তার শেখের ছেলে মাসুম শেখ (৩৫), খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার রায়ের মহল গ্রামের মৃত শেখ কিসলু রহমানের ছেলে জনি (৩২) ও পাবনা জেলার সুজানগর থানার উদয়পুর গ্রামের মৃত আশু মিয়ার ছেলে আব্দুর রব মিয়া (৪২)।

রোববার বিকেলে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা উত্তর ডিবি পুলিশের এসআই আশরাফুল ইসলাম। এরআগে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে মিরপুরের পাইকপাড়া এলাকা থেকে দুইজন ও পাবনা থেকে একজনকে আটক করা হয়।

নিহত সাবেক সেনা সদস্যে ফজলুল হকের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার কাতরাসীন শশীনারা গ্রামে। তিনি পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স লিঃ এর হেড অফিস মতিঝিলে সিকিউরিটি ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, গত ২৪ জানুয়ারী সকালে সাভারের কমলাপুর এলাকায় থেকে এক অজ্ঞাত ব্যাক্তি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার পরিচয় সনাক্ত করা হয় এবং হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ। পরবর্তীতে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে আটক করা হয়। আটকরা হত্যাকেন্ডর সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

আটকদের বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, গত ২৩ জানুয়ারী সন্ধ্যায় সাবেক সেনা সদস্যকে মানিকগঞ্জের উথুলি বাসস্ট্যান্ড থেকে মতিঝিলে পৌছে দেওয়ার কথা বলে যাত্রী হিসেবে প্রাইভেটকারে উঠায় ছিনতাই চক্রটি। কিছুক্ষন পরে ভুক্তভোগী ছিনতাইয়ের কবলে পরেছেন বুঝতে পেয়ে চিৎকারের চেষ্টা করলে তার হাত-পা বেধে চোখে কালো চশমা পরিয়ে দেয়। যার ভিতরের দিকে কালো টেপ লাগানো ছিল। ভুক্তভোগী ধস্তাধস্তী করলে তাকে মারধর করে মুখের ভিতরে সাদা টিস্যু ঢুকিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর গলায় থাকা মাফলার দিয়ে দুইজনে দুইদিকে টান দিলে ভুক্তভোগী মারা যায়। পরে তাকে সাভারের কমলাপুর এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে মিরপুরের দিকে চলে যায়।

এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আশরাফুল ইসলাম জানান, আটকরা র্দীঘদিন যাবৎ প্রাইভেটকারে যাত্রী উঠিয়ে তাদের টাকা, মোবাইল ফোন সহ মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিয়ে বিকাশ কিংবা নগদে মোটা অংকের মুক্তিপোন আদায় করতো। পরে তারা মুক্তিপোন পেলে ভুক্তভোগীকে নির্জন স্থানে ফেলে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যেত। আর না পেলে তাকে হত্যা করে নির্জনস্থানে মরদেহ ফেলে যেত।