সাব্বিরের ‘ঝান্ডায়’ বড় সংগ্রহ সিলেটের

এই আমার দেশ ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনার নাথান লায়ন বাংলাদেশের কোহলি বলেছিলেন সাব্বির রহমানকে। তার আক্রমণাত্মক মানসিকতা, ফুটওয়ার্ক, শট খেলায় মুগ্ধ হয়েছিলেন ওই অজি তারকা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ ছিল সেটা। তবুও ওয়ানডে-টি-২০ খেলতে পছন্দ করা সাব্বিরকে চিনতে ভুল হয়নি তার। সাব্বির নিজেও সেসময় নিজের স্বপক্ষে প্রমাণ দিয়েছেন। আবার নিজের পড়তি ফর্মের কারণও সাব্বির নিজে।

এবারের বিপিএলে শুরুতে তাকে দেখে মনে হয়েছে ব্যাটিং করতে ভুলে গেছেন সাব্বির। বড় শট খেলা তো দূরে, তার ব্যাট তুললেই যেন গা কাঁপে এখন। তবে সাব্বির সিলেট পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে জ্বলে উঠলেন। মনে করিয়ে দিলেন, তিনি ফিরতে মুখিয়ে আছেন। জানান দিলেন, দ্রুত রান তুলতে তার বিকল্প বাংলাদেশ দলে এখনও নেই। দারুণ এক ইনিংস খেলে তিনি সিলেটকে এনে দিয়েছেন ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এ ম্যাচে শুরুতে ফিরে যান লিটন দাস। দুই ম্যাচে ভালো করে আবারও ব্যর্থ লিটন। এরপর আফিফ। তারপরে ওয়ার্নার এবং শেষটায় নিকোলাস পুরানের সঙ্গে মিলে সুষম জুটি গড়েন সাব্বির। নিজে খেলেন ৫১ বলে ৮৫ রানের দুরন্ত এক ইনিংস। আউট হয়ে ইনিংসের শেষ ওভারে যখন ফিরে গেলেন ততক্ষণে তার উচিয়ে ধরা ঝান্ডা আর বাহুর বলে ছক্কা, আর পাঁচটি চার মেরে দর্শক মাতিয়ে গেছেন।

তার আগে আফিফ ভালো শুরু করে ১৯ রান করে ফিরে যান। ওয়ার্নারও ফেরেন ১৯ রান করে। তবে নিকোলাস পুরান এ ম্যাচেও ঝড় তোলেন। তিনি করেন ২৭ বলে ৪৭ রান। তার ইনিংস সাজানো তিনটি ছক্কা এবং চারটি চারে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে সিলেট সিক্সার্সের ইনিংস থামে ৪ উইকেটে ১৯৪ রানে। দলের হয়ে মাশরাফি ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। রংপুরের সেরা বোলার এ ম্যাচে তিনিই। বাকিরা প্রায় ১০ গড়ে রান খেয়েছেন।