সাতক্ষীরা ঝাউডাঙ্গা বাজার সরকারি জমিতে অবৈধ বহুতল ভবন নির্মান ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বন্ধ

খান নাজমুল হুসাইন, সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা  বাজারে অবৈধ স্থাপনা নির্মানে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তার  হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়েছে। রবিবার(২৫ এপ্রিল) দুপুর ২ টার সময় ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা হস্তক্ষেপে  বাজারে বহুতল ভবন নির্মানের কাজ বন্ধ করা হয়। মহামারী করোনাকে পুঁজি করে একশ্রেণীর ভূমিদস্যুরা সরকারি জমি জবরদখলপূর্বক ঘর নির্মানে উৎসবে মেতে উঠেছে। কোন কিছুতে তোযাক্কা না করে প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে দিনে দুপুরে বহু তল ভবন নির্মাণ করছে। ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল বারি ঘর নির্মাণের কাজ বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে আবারো বিষু ঘোষ তার বাহিনী দিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে জানালে তিনি এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর সহকারি ভূমি কর্মকর্তাকে জানালে তিনি ঝাউডাঙ্গা জগন্নাথদেব মন্দিরের সামনে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ পরিদর্শন করেন তখন বিষু ঘোষ তার লোকজন ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঝাউডাঙ্গা বাজার ইলেকট্রনিক ব্যাবসায়ী আনারুল ইসলাম বলেন, বিষু ঘোষ সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করছে দেখে আমি মোবাইল ফোনের ভিডিও করলে বিষু ঘোষ আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন হাত থেকে নিয়ে ভেঙ্গে দেই। আমি ঘর নির্মাণের বিষয় ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তার কাছে মোবাইল ফোনে জানায় তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ঘটনাস্থলে এসে কাজটি বন্ধ করে দেয়। বিষু ঘোষ শুধু দিনেই নয় রাতের আধারে মহামারী করোনা কালীন সময়ে  নিঝুম রাতে নীরবে তার বাহিনী দিয়ে ঘর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজার ব্যাবসায়ীরা জানান, দিনে দুপুরে বিষু ঘোষ তার ক্ষমতার দাপটে বাহিনী দিয়ে আবারও বহুতল ভবন নির্মানের কাজ শুরু করে। রাতের আধারে ও এই নির্মাণের কাজ প্রতিনিয়ত চলছে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাজার ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে বিষু ঘোষের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ জমি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ছিল এখন বর্তমান সরকারি খাস খতিয়ানে চলে গেছে এটা আমার জানা ছিল না কাজ করতে এসে জানতে পারি এটা সরকারি খাস খতিয়ানের জমি।
সাতক্ষীরা সদর সহকারি ভূমি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ঝাউডাঙ্গা বাজার জগন্নাথ দেব মন্দিরের সামনে সরকারি ভূমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, সরকারি নিয়ম অমান্য করে কোন ক্রমেই ঘর নির্মান করা যাবে না, তবে এ নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।