সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে এক গৃহবধূর ক্রয়কৃত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে এক গৃহবধূর ক্রয়কৃত সম্পত্তি ভাড়াটিয়া বাহিনীর সহযোগিতায় অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে হুমকি ধামকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন কালিগঞ্জ উপজেলার শীতলপুর গ্রামের মো. রবিউল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ রেকসনা পারভীন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২০১৯ সালে আমি সাতক্ষীরার পলাশপোল মৌজায়, ২৭৫২ নং খতিয়ানের ১৩৯৯০ দাগে৪.৬৪ শতক জমি দানপত্র কোবলা গ্রহণ করি। যার ক্রয় সুত্রে মালিক ছিল মৃত. জিয়াদ আলী মোল্লার ওয়ারেশ চার মেয়ে জাহানারা, মনোয়ারা, রাশিদা, ফরিদা এবং তার স্ত্রী জামিলা খাতুন। জিয়াদ আলীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ও ৪ মেয়ে ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে তাদের অংশ থেকে ৪.৬৪ শতক জমি আমার বরাবর দানপত্র কোবলামূলে হস্তান্তর করেন। সমির রায় উক্ত সম্পত্তি ভিন্ন ভিন্ন দলিলে শওকত আলী ও নূরুল ইসলামের কাছে বিক্রি করেন। শওকত ও নূরুল ইসলাম উক্ত সম্পত্তির ১৩৯৯০ দাগের জমির মধ্য হতে ৫কাঠা জমি জিয়াদ আলীর কাছে বিক্রি করেন। এদিকে শওকত ও নূরুল ইসলামের মৃত্যুর পর তাদের ওয়ারেশগণ জিয়াদ আলীর কাছে বিক্রিত সম্পত্তি গোপনে সনাতন সাধুর ছেলে মহাদেব সাধুর কাছে বিক্রি করেন। মহাদেব সাধু কাগজপত্র যাচাই-বাছাই না করে দালাল কাশেম ও আকছেদের খপ্পরে পড়ে উক্ত সম্পত্তি ক্রয় করেন এবং সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে আমার দানপত্রে গ্রহণকরা সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের ষড়যন্ত্র লিপ্ত হয়। এঘটনায় আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকার পরও মহাদেব সাধু দালাল কাশেম ও আকছেদের প্ররোচনায় আমার সম্পত্তি দখলের ষড়যন্ত্রে করছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মহাদেব সাধু তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জোরপূর্বক আমার সম্পত্তি দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন। অথচ তারা প্রচার দিচ্ছে আমরা উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে ও প্রভাব খাটিয়ে সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছি। যদি তাই হতো তাহলে আমি আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করতাম না। আমি আইনের প্রতি সম্মান রেখে আদালতের নির্দেশ মেনেই জমিতে ভোগদখল করতে চাই। মহাদেব সাধু ও কাশেম গংরা আমাদেরকে ভারতীয় হাইকমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরের নামে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে জমি দখল করার চেষ্টা করছে। তারা নিজেদের অপরাধ ঢাকতে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন এবং আমার ভাই সৈয়দ শাফিনুর রহমানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করছে। আমি তাদের এধরনের মিথ্যেচারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, চিহ্নিত ভ‚মিদস্যু কাশেম ও আকছেদ আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকার অসহায় নিরিহ মানুষের জমি দখল করে অন্যত্র বিক্রি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। তাদের ভয়ে এলাকার নিরিহ মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায় না। কাশেম ও আকছেদ এর কারণে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ভাবমুর্তি নষ্ট হচ্ছে। তিনি উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তার সম্পত্তির দখল বুঝে পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।