সাতক্ষীরার শ্যামনগরে উপকূল রক্ষা বাঁধ ভেঙে গাবুরা এলাকা প্লাবিত

খান নাজমুল হুসাইন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরের উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরায় উপকূল রক্ষাবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালের গাবুরা ইউনিয়নের নেবুবুনিয়া এলাকার উপকূল রক্ষাবাঁধ পাশের খোলপেটুয়া নদীতে বিলীন হয়ে ইউনিয়নের দুটি গ্রাাম প্লাবিত হয়েছে। ভাঙন কবলিত অংশের ছয়টি পয়েন্ট দিয়ে পানির প্রবেশ অব্যাহত থাকায় রাতে জোয়ারের পানিতে নতুন নতুন এলাকা জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ছয়টি পয়েন্ট এর প্রায় ষাট ফুট বাঁধ নদীতে বিলীন হওয়ার কারনে মুহূর্তের মধ্যে প্রায় তিনশ একর জমির চিংড়িঘের ও দেড় শতাধিক বসতঘর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। আম্পান তান্ডবের পর একই এলাকায় রিংবাঁধ মেরামত করা হলেও বৃহস্পতিবার বিকালে সংলগ্ন অংশ আবারও ভাঙনের মুখে পড়ার পর স্থানীয়দের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির সাথে গত দু’দিন ধরে বাতাস শুরু হয়েছে। নদীতে হঠাৎ পানির চাপ বেড়ে যাওয়ার কারনে আকস্মিকভাবে বৃহস্পতিবার বিকালে নেবুবুনিয়া এলাকার ছয়টি পয়েন্টে উপকুল রক্ষা বাঁধ নদীতে বিলীন হয়। নেবুবুনিয়া ও গাবুরা গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। রাতের জোয়ারে গোটা গাবুরা পানিতে প্লাবিত হওয়ার আতংকে রয়েছে তারা।

গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম মাসুদুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করেই নেবুবুনিয়া এলাকার বাঁধের ছয়টি স্থানের বাঁধ ভেঙে দুটি গ্রামের প্রায় তিনশ একরের মত চিংড়িঘের, দুইশত বসতবাড়ি পানিতে ভেসে গেছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কৃর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাতের জোয়ারে গাবুরা ইউনিয়নের আরও এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত লেবুবুনিয়ার এই বেড়িবাধটি সংস্কারের জন্য সরকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু তারা এখনও কাজ শুরু করেননি। তার মধ্যে আজ দুপুরের জোয়ারে রিংবাধটি ভেঙে আবার লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। দ্রæত বেড়িবাঁধ সংস্কার করা সম্ভব না হলে গোটা এলাকা প্লাবিত হবে। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, নদীতে জোয়ারের চাপ বৃদ্ধির সাথে সাথে ভারি বৃষ্টিপাতের কারনে বিকালে নেবুবুনিয়া এলাকার বাঁধ ভেঙে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভাঙনের খবরের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি আশা করছি আগামী ৩/৪ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্ভব হবে।