সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে বিদেশীদের প্রবেশ বন্ধ,এ বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও বন্ধ

খান নাজমুল হুসাইন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের সকল স্থবন্দরের ন্যায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরেও বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের অধিকতর সংক্রমণ রোধকল্পে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ২২ মার্চ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সব স্থলবন্দর দিয়ে বিদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তবে নতুন করে কোন বিদেশী নাগরিককে প্রবেশ করতে না দিলেও আগে যারা দুই-দেশে প্রবেশ করেছে তাদের আসা-যাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে ভোমরা ইমিগ্রেশন কর্র্তৃপক্ষ । এদিকে, করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জনতার কারফিউ জারি করায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আজ রবিবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর ফলে সরকার একদিনে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে জানিয়েছে কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ।

ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোশিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্ট কার্গো ওয়েলফেয়ার এ্যসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক জয়দেব সরকার স্বাক্ষরিত একটি পত্রে সে দেশে জনতার কারফিউ জারী করার কারনে এ বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনেকে জানানো হয়। তবে আগামীকাল সোমবার থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আরো জানান। এদিকে, আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ থ্কাায় এ বন্দরে কর্মরত প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শ্রমিক আজ অলস সময় পার করছেন।

ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের ওসি বিশ^জিত সরকার জানান, এ বন্দর দিয়ে সকল প্রকার বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে, আগে যারা দুই-দেশে প্রবেশ করেছেন তাদের আসা-যাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে। নতুন করে কোন বিদেশী যাত্রীকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছেনা। একইসাথে বাংলাদেশ থেকে নতুন করে কাউকে ভারতে যেতে দেয়া হচ্ছেনা।

ভোমরা শুল্ক ষ্টশনের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্ট কার্গো ওয়েলফেয়ার এ্যসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষরিত ওই পত্রে একদিনের জন্য অর্থ্যাৎ শুধু মাত রবিবার আমাদানী-রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ রাখার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। আগামীকাল যথারীতি চলবে বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। তিনি আরো জানান, এই একদিনে সরকারের প্রায় সাড়ে তিন কোটি রাজস্ব হারাবে।