সাতকানিয়ায় ইউপি নির্বাচনে গোলাগুলি, প্রার্থীর শিশু ভাতিজাসহ নিহত ২

এই আমার দেশ ডেস্ক

ব্যাপক সংঘাত, সহিংসতা, হানাহানি ও অস্ত্রের ঝনঝনানির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ১৬ ইউনিয়নের নির্বাচন। নলুয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত হয়েছে তাসিফ নামে ১১ বছরের এক কিশোর ও বাজালিয়া ইউনিয়নে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান শুক্কুর নামে একজন। নিহত তাসিফের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মোহাম্মদ তাসিব নামে ১১ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ওই ইউনিয়নে নৌকার সমর্থিত প্রার্থী লেয়াকত আলীর সমর্থকদের দায়ের কোপে ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়।

নিহত তাসিব এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে ও ইউপি সদস্য প্রার্থী মিজানুর রহমানের ভাতিজা। সে উপজেলার মরফলা আরএমএন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে নিহত হন শুক্কুর। অন্যদিকে খাগরিয়া ইউনিয়নও উত্তপ্ত সকাল থেকেই। আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যকার গোলাগুলিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। দুটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোটকেন্দ্রে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুপক্ষ প্রথমে লাঠিসোটা নিয়ে পরে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে পরস্পরের উপর চড়াও হয়। চলে গোলাগুলি। দুপক্ষের অনুসারীদের অনেককে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে গুলিবর্ষণ করতে দেখা যায়।

গনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন জানান, পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়। খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রের বাইরেও দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হলে ওখানেও ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। র‍্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক জানান, শুধুমাত্র দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। অন্য কেন্দ্রে যথারীতি ভোটগ্রহণ চলে।