সাজাপ্রাপ্ত সাবেক এমপি মশিউরের পুত্রের বিরুদ্ধে নিজ কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ!

সাজাপ্রাপ্ত ঝিনাইদহের সাবেক এমপি মশিউর রহমানের পুত্র ডাঃ ইব্রাহিম রহমান রুমি

নিজস্ব প্রতিবেদক

এবার দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ঝিনাইদহের সাবেক এমপি মশিউর রহমানের পুত্র ডাঃ ইব্রাহিম রহমান রুমির বিরুদ্ধে নিজ কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর কলাবাগান থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
কন্যার নাম সুফিয়া রহমান। বয়স মাত্র ৪ বছর।

অভিযোগের এক পর্যায়ে কন্যার জন্মদাত্রী মা আফিয়া বিনতে শাহ উল্লেখ করেছেন, “ গত ১৩/১০/২০২১ তারিখে আমার মেয়ে সুফিয়াকে কলবাগানের বাসা থেকে আনার পর পোষাক পরিবর্তন কালে দেখতে পাই, ‘আমার মেয়ের মুখে ও যৌনাঙ্গে ঘাাঁয়ের এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে নখের আচড়ের দাগ বিদ্যমান।

তাৎক্ষনিকভাবে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে মেয়ের মুখ থেকে জানতে পারি তার পিতা ডাঃ ইব্রাহীম রহমান রুমি বিভিন্ন সময়ে মেয়েকে দিয়ে তার পুরুষ লিঙ্গ চুষাত এবং আমার মেয়ের যৌনাঙ্গে আঙ্গুল দিতো। যার কারণে আমার মেয়ের মুখে ও যৌনাঙ্গে ক্ষতের দাগ সৃষ্টি হয়েছে।

এমতাবস্থায় ২৭/১১/২০২১ তারিখ বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ওসিসিতে ভর্তি করায়। সেখানে ঐদিন থেকে ২৯/১১/২০২১ তারিখ পর্যন্ত মেয়ে সুফিয়ার যাবতীয় পরীক্ষা নিরিক্ষাসহ চিকিৎসা প্রদান করানো হয়।

চিকিৎসা শেষে ডাক্তারি ছাড়পত্র গ্রহণকালে ডাক্তারের কাছে জানতে পারি, আমার মেয়ে হাইমেন (সতীত্ব র্পদা) ছেঁড়া এবং মেয়ে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণসহ নানা ভাবে যৌন নির্যাতনে শিকার হয়েছে।

এজাহারে আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, চার বছরের শিশু কন্যার পিতা ডাঃ ইব্রাহিম রহমান রুমি (৩৫), পিতা-মশিউর রহমান, স্থায়ী ঠিকানা – বাসা নং ৫৯, গীতাঞ্জলী সড়ক, পো: ঝিনাইদহ-৭৩০০ থানা-ঝিনাইদহ সদর, জেলা ঝিনাইদহ।

বর্তমান ঠিকানা ১৯/১, ফ্লাট নং -১৫/ই, লেকসার্কাস, পান্থপথ, থানা-কলাবাগান, ডিএমপি, ঢাকা।

ঝিনাইদহের রাজনীতিতে আলোচিত-সমালোচিত সাবেক এমপি মশিউর রহমান এখন বড় একা। নেই তার রাজত্ব, নেই লোক লস্কর। দুর্নীতির দায়ে ১০ বছরের সাজা হয়েছে। সম্পাদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দিন যায় জেলের চার দেয়াল ঘেরা বন্দিশালায়। কখনো জামিনে বাইরে আসলেও চুপি চুপি বেড়ান- ঝিনাইদহের রাস্তায়।

২০০৮ সালের ১৪ই ডিসেম্বর দূনীতির অভিযোগে মশিউর রহমানের নামে দূর্নীতি দমন কমিশন মামলা দায়ের করে। ২০১৭ সালের অক্টোবরে যশোরের বিশেষ জজ আদালত অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, জরিমানা ও তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত কারে রায় দেন।

নিজ দল বিএনপিতেওে পদ পদবী হারিয়েছেন নিজের আত্মীয়-স্বজনের কাছেই। এক সময় ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।

ছিলেন সংসদের বিরোধী দলীয় হুইপ। সংসদীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কমিটি, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সহ জাতীয় সংসদের বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্বও পালন করছেন।

এবার ‘মরার উপর খাড়ার ঘাঁ’ এর মতো নিজের ডাক্তার পুত্রের বিরুদ্ধে শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

(এ বিষয়ে দৈনিক এই আমার দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে বিস্তারিত প্রকাশিত হবে- সম্পাদক।)