সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড: ৭৮ বার সময় পিছিয়েছেন আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাংবাদিক দম্পতি (সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি) হত্যাকাণ্ডের নয়টি বছর অতিবাহিত হয়েছে। আর এ হত্যা মামলার তদন্ত সংস্থা র‍্যাব প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ৭৮ বার সময় পিছিয়েছেন আদালত। দীর্ঘ সময় (নয় বছর) অতিবাহিত হলেও মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় হতাশ নিহতদের পরিবার এবং এখনও বিচারের আশায় পথ চেয়ে আছেন নিহতের পরিবার।

মামলার বাদী রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, বাংলাদেশে অনেক হত্যা মামলার বিচার হয়। কিন্তু সাগর-রুনি হত্যা মামলার বিচার হয় না। নয় বছরেও মামলার তদন্ত শেষ করতে পারেনি। মামলার তদন্তের কোনো অগ্রগতি আমাদের জানানো হয় না। তবুও আমরা বিচারের আশায় পথ চেয়ে আছি।

ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, তদন্ত সংস্থার উচিত মামলাটি দ্রুত তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করা।

এ প্রসঙ্গে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক আশিক বিল্লাহ বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার র‍্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবহিত রয়েছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ২০১২ সালের ১১ ই ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হয়েছিলেন। খুন হওয়ার পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।

প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হলে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।

মামলায় আটজনকে বিভিন্ন সময় গ্রেফতারও করা হয়েছে। এদের মধ্যে মিন্টু, কামরুল হাসান, বকুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম, আবু সাঈদ ও এনাম আহম্মেদ কারাগারে আছেন। তবে, পলাশ রুদ্র পাল ও তানভীর রহমান হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছেন।