সরকার আসলে সিন্ডিকেটের কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে: রিজভী

সরকার সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন,বাসে ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া নেয়ার কথা থাকলেও কোথাও কোথাও ৮০ শতাংশ অথবা এর চেয়েও বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। লঞ্চে সামাজিক দুরত্ব বজায় থাকা তো দূরে থাক, সেখানে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। আসলে সরকার সিন্ডিকেটের কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে। এগুলো সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতারই নিদর্শন।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে গণপরিবহন ও অফিস-আদালত খুলে দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন রিজভী।
তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে কত মানুষের মৃত্যু ও আক্রান্ত হবে সেটি সরেজমিনে স্বচক্ষে দেখার জন্য গণপরিবহনসহ অফিস-আদালত খুলে দিয়েছে সরকার। একটি সরকার ম্যান্ডেটবিহীন হলেই কেবল এ ধরণের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
‘আসলে সরকার যা কিছু করছে, তা নিজেদের সিন্ডিকেটের স্বার্থকে রক্ষা করতে। সরকার জনস্বার্থে সফল নয়, কিন্তু দুস্কর্মের সাথী হতে খুবই দক্ষ। কে কোথায় ফেসবুকে কি পোষ্ট করছে সেটি হরদম মনিটরিং করছেন সরকারের গোয়েন্দারা। পোষ্টগুলোতে সরকারবিরোধী কোনো বক্তব্য বা মন্তব্য থাকলেই ফেসবুক ব্যবহারকারীদেরকে গুম, নির্যাতন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা, গ্রেফতারসহ নানা নির্যাতনের দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়।
রিজভী বলেন,গত পরশু থেকে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চালুর কথা থাকলেও সেটি কোনক্রমেই বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালানো হবে এই শর্ত দিয়ে অনুমতির কথা বলেছে সরকার। কিন্তু বাস, লঞ্চ, টেম্পু, অটোরিকসাসহ সবধরণের গণপরিবহনেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে। দুরপাল্লার বাসগুলোতে ঠেলাঠেলি করে মানুষ ভেতরে ঢুকছে। অথচ শর্ত ছিল অর্ধেক যাত্রী তোলা হবে। কোনো কোনো বাসে ছাদের উপরেও যাত্রী তোলা হয়েছে। ঢাকা থেকে কোনো কোনো বাসে অর্ধেক যাত্রী তোলা হলেও ঢাকার বাইরে গিয়ে বেশী যাত্রী তোলা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার শুধুমাত্র বিরোধী দল ও মতকে নিষ্পেষণ ও নির্যাতনে সক্ষমতা অর্জন করেছে কিন্তু দুর্যোগ, মহামারী, দুর্ভিক্ষ এবং জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হয়েছে।