সরকারি হাসপাতালের ডিউটি ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে রেজাউল

আল-আমিন শেখ, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:
সরকারি হাসপাতালের ডিউটি ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে দায়িত্ব পালনের অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ডেন্টাল) মো. রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন যাবত তিনি দায়িত্বে অবহেলা করছেন। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার পরেই ঘাটাইলে তার ব্যক্তিগত ক্লিনিকে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঘাটাইলের কমফোর্ট হসপিটাল ও রেলা ডেন্টাল কেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এতে স্থানীয়রা দাঁতের সমস্যা নিয়ে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে কোন সুরাহাই পান না। হাসপাতাল থেকে রেজাউল ইসলামকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও দায়িত্ব অবহেলার কারণে মো. রেজাউল ইসলামকে একাধিক শোকজ নোটিশও করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ি সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াই টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করার নিয়ম থাকলেও রেজাউল ইসলাম তার কোন তোয়াক্কা করেন না। সে প্রতিদিন সকাল ৯ টা এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেই সকাল ১০ টার দিকে ঘাটাইল চলে যান। এভাবেই তিনি মাসের পর মাস সরকারি দায়িত্ব ফাঁকি দিয়ে অধিক টাকার আশায় তার ঘাটাইলের ব্যক্তিগত ক্লিনিকে বসেন।

কালিহাতীর আবু হানিফ বলেন, ইতোপূর্বেও দুইবার দাঁতের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে গেলে রেজাউলকে পাওয়া যায়নি। অধিক টাকা দিয়ে বাহিরের ডাক্তার দিয়ে সেবা নিতে হয়েছে আমাকে। সে শুধু সরকারি পদ দখল করে রয়েছেন। তার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে আমরা ভাল মানের চিকিৎসা পাবো। তাকে অপসারণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

অপরজন গোপাল মিয়া বলেন, রেজাউল ইসলামের কাছে দাঁতের সমস্যা নিয়ে গেলে তিনি তার ব্যক্তিগত ক্লিনিকে যাওয়ার ভিজিটিং কার্ড ধরিয়ে দেন। রেজাউলের মতো ব্যক্তি হাসপাতালে থাকার চেয়ে না থাকা অনেক ভাল।

কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উম্মে রুমান সিদ্দিকী বলেন, দায়িত্ব অবহেলার কারণে রেজাউল ইসলামকে এর আগেও একাধিকবার শোকজ করা হয়েছে। তারপরও তিনি নিয়ম মেনে অফিসে থাকেন না। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

অভিযুক্ত রেজাইল ইসলাম বলেন, আমি নিয়ম মেনেই অফিস করি। আজকে শুধু একটার আগে অফিস থেকে বের হয়েছি।