সখিপুরে এক ভ্যানচালককে বেধড়ক পিটিয়েছে দুস্কৃতিকারীরা,গুরুতর আহত গফুর সখিপুর হাসপাতালে ভর্তি

মোঃ আল-আমিন শেখ টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:-টাঙ্গাইলের সখিপুরে ভ্যানচালক আব্দুল গফুরকে বেধড়ক পিটিয়েছে একদল দুস্কৃতিকারী। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৪সেপ্টেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার কুতুবপুর চিতারচালা ভিটাপাড় এলাকায়।গুরুতর আহত আব্দুল গফুরকে মঙ্গলবার (১৫সেপ্টেম্বর) সকালে এলাকার লোকজন উদ্ধার করে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। আব্দুল গফুর কুতুবপুর উত্তর ইছামারি এলাকার জয়েন উদ্দিনের ছেলে।

বুধবার(১৬সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে গেলে এলাকার লোকজন জানায়, ভ্যানচালক দীর্ঘদিন যাবৎ ওই এলাকায় অটোভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। ঘটনার দিন রাতে সে ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী এলাকায় পোল্ট্রি মুরগির বাচ্চা আনার জন্য গিয়েছিল। বাচ্চার জন্য অপেক্ষায় থাকার পর রাত গভীর হয়ে যায়।

এ সময় বাচ্চার গাড়ি না আসায় আব্দুল গফুর তার অটোভ্যান নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে চিতারচালা ভিটাপাড় এলাকায় পৌছলে গরু চোর সন্দেহে ওই এলাকার হাসমত আলীর ছেলে বাছেদ আলী(৩০),জয়নালের ছেলে সুমন(২৮),হাবিবুর উরফে হবি মাষ্টারের ছেলে মুকুল(২৯),আ.রশীদের ছেলে রিপন(২৮) এবং মনির সহ ১০/১২জন একত্রিত হয়ে অটোভ্যান চালক আব্দুল গফুরকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে চিতারচালা ভিটাপাড় গোলঘরে ফেলে রেখে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে খবর দিয়ে তারা সটকে পড়ে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান ফকির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সাগরদিঘী বাজারের বিনিময় টু ডিমের আড়তের মালিক হেলাল উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন,আব্দুল গফুর রাতে মুরগির খাদ্য নিয়ে করিমগঞ্জ যায়,আবার

সাগরদিঘী ফিরে আসে মুরগির বাচ্চা নেওয়ার জন্য কিন্তু মুরগির বাচ্চার গাড়ি না আসায় সে সোমবার রাতে অটোভ্যান নিয়ে বাড়িতে চলে যায়।

মঙ্গলবার ভোরে সুমন নামে এক লোক আমার নিকট ফোন করে জানতে চায় আব্দুল গফুর আমার দোকানে কাজ করে কিনা? হাসপাতাল বেডে কাতরাতে কারাতে গুরুতর আহত আব্দুল গফুর বলেন,আমি দীর্ঘ ২০বছর যাবৎ ওই এলাকায় ভ্যান চালাই,সবাই আমাকে চিনে এবং জানে তবু তারা আমাকে অজ্ঞাত কারনে বেধড়ক পিটিয়েছে ও মুখে মদ ঢেলে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।

সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির উদয় বলেন,থানায় কেউ অভিযোগ করেনি,অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।