শৈলকুপা উপজেলা প্রশাসনের নির্লিপ্তা ও নজরদারির অভাব : কুমার নদের পাড় মাটি কেটে চাষের জমি তৈরীর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা প্রশাসনের নির্লিপ্তা ও নজরদারীর অভাবে সরকারী সম্পদ সীমাহীন তছরুপ ও ক্ষতিগ্রস্থ করা হচ্ছে। বছরের পর বছর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নদীর পাড়কাটা, খাল দখল ও বালি উত্তালন করা হলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় না। ক্ষেত্র বিশেষ মুখ চেনা প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকায় স্থানীয় প্রশাসন নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করেন। ফলে নদ নদী, খাল বিল বাজার ঘাট দখল হয়ে যাচ্ছে। এমন একটি নজীর সৃষ্টি হয়েছে শৈলকুপার হাট-ফাদিলপুর এলাকায় কুমার নদ-এ। নদের পাড়ের জমি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে চাষযোগ্য জমি তৈরী করছে সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তি। এক সময় হয়তো নদের জমি দখল করে নিবে সোহেল রানা। তিনি দিনের পর দিন নদীর পাড় কাটা হেেলও নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তা ও এসিল্যান্ড। সরেজমিন দেখা গেছে, এই মাটি কেটে চাষের উপযোগি করা হচ্ছে। জায়গাটি নদ এর হলেও চলে যাচ্ছে প্রভাবশালীর দখলে। এতে একদিকে নদ এর ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে জায়গা বে-দখল হয়ে হচ্ছে। জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমা লের চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলায় অবস্থিত কুমার নদ। ১২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এই নদ এর ঝিনাইদহ অংশে পাড় দখল অব্যহত রয়েছে। শৈলকুপা বাজারের একটি অংশ গড়ে উঠেছে কুমার নদ এর জায়গা দখল করে। এছাড়া রয়েড়া, আবাইপুর, হাট-ফাদিলপুর সহ বেশ কয়েকটি বাজার এই নদ এর পাড়ে হওয়ায় সেখানেও চলছে দখল। সর্বশেষ শনিবার হাট-ফাদিলপুর বাজারের নিচে ভেকু মেশিন দিয়ে নদ থেকে মাটি কেটে পাড় বাঁধতে দেখা গেছে। এখানে চাষাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন দখলদার। সরেজমিনে দেখা গেছে হাট-ফাদিলপুর-কামান্না সড়কের কুমার নদ এর উপর থাকা সেতুর পশ্চিমে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। নদ এর তলদেশ সমতল থাকলেও সেখানে গর্ত খুড়ে সেই গর্তের মাটি পাড়ে জমানো হচ্ছে। এরপর ওই জমানো মাটি সমান করে সেখানে চাষাবাদ করা হবে। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা জানান, হাট-ফাদিলপুর বাজারের বাসিন্দা নেকবার আলীর ছেলে সোহেল রানা এই মাটি কাটছেন। তিনি নদ এর জায়গাটি চাষযোগ্য করে তুলছেন। শৈলকুপা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, নদ এর মধ্যে শুধু নয় বাজারের মাঝ দিয়ে যাওয়া সেতুর দুই ধারেও দখল করা হয়েছে। যেখানে পাকা ভবন করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বানানো হয়েছে। এ বিষয়ে সোহেল রানা জানান, তিনি কিছুটা জায়গা চাষযোগ্য করে তুলছেন এতে নদ এর কোনো ক্ষতি হবে না। তাছাড়া খুব বেশি গর্ত করছেন না, ৫ থেকে ৬ ফুট জায়গার মাটি কেটে পাড়ে দিচ্ছেন। যে মাটি পরবর্তী সময়ে পানির চাপে আবার ওই স্থানে চলে যাবে। শৈলকুপা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) প্রার্থ প্রতীম শীল জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। তবে দ্রুত নদ এর মাটি কাটা বন্ধ হয় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে জানান।