শীত আর ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে বোরো রোপনে ব্যস্ত মহেশপুরের কৃষকরা

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) থেকে: হঠাৎ করেই বেড়েছে কুয়াশা ও শীতের দাপট। অতিরিক্ত ঠান্ডায় জনজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। কিন্তু যারা মাঠে সোনা ফলাবে তাদের স্থাবিরতা নেই। হাড়কাপা শীত আর ঘন কুয়াশাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কাকডাকা ভোরে উঠে কাদা মাঠে স্বপ্ন বুনছেন মহেশপুরের কৃষকরা। শীত সবসময় তাদের কাছেই যেন হার মানে।

এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন উপজেলা কৃষি অফিস। চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ২৪২৫৯ হেক্টর ও উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৮৪ মেঃ টন।

সরজমিনে মহেশপুর পৌর এলাকার বালিরগর্ত মাঠে গিয়ে দেখা যায়,ভোর বেলায় প্রচন্ড শীত ও কুয়াশার মধ্যেও কৃষকেরা দলবেধে বোরো ধানের চারা রোপন করছে। কৃষকরা বলেন,শীতের ভয়ে ঘরে বসে থাকলে চলবে,আমরা এসময়ে বসে থাকলে পরিবার ও দেশের মানুষের পেটে ভাত জুটবে কিভাবে। তারা আরো বলেন, আমরা বসে থাকলে সমস্যা শুধু আমদের হবে না গোটা দেশের সমস্যা হবে। মাঠের পর মাঠ ফসল না লাগালে মানুষ খাবে কি ? বেলা ১২টার দিকে পৌর এলাকার হুদোর মোড় মাঠের দিকে মাথায় বোরো ধানের চারা নিয়ে যাচ্ছিলেন কৃষকরা। তারা বলেন, শুনেছি মাঘের শীতে নাকি বাঘ কাপে। মাঘের শীত শুরু হয়ে গেছে। বিকাল থেকেই কুয়াশা শুরু হয়। রাতে টিনের চালে টুপটাপ শব্দে বৃষ্টির মতো ঝরে কুয়াশা। সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে গেলেও কুয়াশাচ্ছন্ন থেকে যায় চারপাশ। তবে কুয়াশ বা শীত আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। তারা আরও বলেন প্রাকৃতিক বির্যয়ের সম্মুখীন না হলে ক-দিন পরেই মাঠের পর মাঠ ভরে যাবে সবুজ ধান ক্ষেত। তার পর সোনার ফসলে শুরু হবে হাসির ঝিলিক।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান আলী জানান, উপজেলার বিভিন্ন মাঠে বোরো ধান রোপনের ধুম পড়েছে। চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ২৪২৫৯ হেক্টর ও উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৮৪ মেঃটন । তবে দাম ভাল হওয়ায় ভুট্টা আবাদে ঝুকেছে চাষিরা । যার ফলে বোরো মৌসুমে এবার লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।