শীতের সন্ধ্যায় গ্রামীণ পিঠার উষ্ণতা ছড়াচ্ছে সান্তাহার রেলগেটে

নেহাল আহম্মেদ প্রান্ত,আদমদিঘী প্রতিনিধি। বহুকাল ধরেই বাঙালীর লোক ঐতিহ্য পিঠার ইতিহাস বাংলাদেশের গ্রামীণ মানুষের ঘরে ঘরে শীত ঋতুতে বার বার হাজির হয়। শীতে বিভিন্ন ধরনের পিঠার গুরুত্ব এবং ভূমিকা সে তো ইতিহাসের কালজয়ী সাক্ষী। গ্রামীণ মানুষদের কাছে পিঠা ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, পিঠার এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় শহরের সবখানে এখন ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের অসংখ্য মানুষ অন্য ঋতুর চেয়ে শীত ঋতু আসলেই যেন খুব বেশী পিঠা উৎসবের আয়োজন করে। যুগ যুগ ধরে মানুষেরা সুস্বাদু উপাদেয় পিঠা খাদ্যদ্রব্যে উৎসব পালন করে আসছে। হেমন্ত আসতে না আসতেই বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় নবান্ন। চলে পিঠা বানানোর প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে গ্রামেগঞ্জে তৈরিও হচ্ছে নানান স্বাদের পিঠা। শুধুই যে গ্রামে তা নয়, শহরের আনাচে কানাচে গড়ে ওঠে বিভিন্ন পিঠার দোকান। সান্তাহার রেলগেটের এই পিঠার দোকানগুলোতেও হরেক রকমের পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়। শীতকালের আমেজে খেজুর গুড় আর রস ছাড়া তো পিঠা তৈরীর পূর্ণতা কখনই সম্পন্ন হয় না। সেই চিরাচরিত রীতি মেনেই সান্তহার রেলগেট এলাকায় চলছে পিঠার হাট। প্রতি সন্ধ্যায় যে হাটে ভীড় জমায় সকল শ্রেনীর শত শত মানুষ। ভাপা পিঠা থেকে শুরু করে চিতই পিঠা সব ধরনের গ্রামীন পিঠায় পাওয়া যায় এই পিঠা হাটে।

তেমন এক পিঠা ব্যবসায়ী মো. তপুর সাথে কথা হলো গতকাল রোববার সন্ধ্যায়। হরেক রকমের পিঠার সমাহারে সজ্জিত্ব ছিল এই পিঠার দোকানটি। সান্তাহার রেলগেট এলাকায় এই পিঠার দোকানটিই সবচেয়ে জনপ্রিয়। সন্ধ্যায় তপুর দোকানটিতে পিঠা খেতে এলে হাতে কিছু সময় নিয়ে আসতে হবে। কারন দোকানটিতে এ সময় থাকে ক্রেতাদের তীব্র চাপ। তপুর এই দোকানে পাওয়া যাচ্ছে ঝাল ও মিষ্টি স্বাদের বিভিন্ন ধরনের তেল পিঠা, নারিকেল কুশলী পিঠা, ঝালের কুশলী পিঠা, মিষ্টি পিঠা, চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, ডিম পিঠা, দুধ পিঠা, সাত খুপি পিঠাসহ আরো হরেক রকমের পিঠা। ২ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত পিঠা পাওয়া যায় এই দোকানটিতে। তপুর এই দোকানে প্রতি সন্ধ্যায় পিঠা তৈরীর জন্য ব্যবহৃত হয় আশি কেজি চালের আটা। দোকানটিতে কর্মসংস্থান হয়েছে ৭জন মানুষের যাদের প্রতিদিন দেয়া হয় ৫০০ টাকা পারিশ্রমিক। শীতের সন্ধ্যায় গরম পিঠার স্বাদ নিতে ঘুরে আসতে পারেন সান্তাহার রেলগেটের পিঠার দোকানগুলোতে।