শীতের রাতে শ্রোতাদের মাতিয়ে তুললেন জেমস

রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহী কলেজ এইচএসসি অ্যালামনাই প্রথম দিনের ২য় অধিবেশনে বিশেষ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পূর্ণমিলন কমিটি। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে কলেজ মাঠে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এতে প্রথমে নৃত্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু। পরে গান পরিবেশন করেন ১৯৭৩ সালের এইচএসসি ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বাংলাদেশ বেতারের শিল্পী ও সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার প্রফেসর ইফফাত আরা নার্গিস। এ ছাড়া গান পরিবশেন করেন ১৯৯০ সালের এইচএসসি ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী জুবাইদা পারভিন লিপি।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন ধ্রুবা দলক নৃত্য ও নাট্য সংসদ। কলেজের নৃত্য ও নাট্য সংসদ আলোর শিখা মমবাতি প্রদর্শন করান। পরে ৫ মিনিটের নাটক ‘নবাব সিরাজ উদ্দৌলা’ পরিবশেন করা হয় এই পূর্ণমিলনীর মঞ্চে। আর যেখানে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় আগ থেকেই বিশেষ আর্কষণ হিসেবে ঘোষণা ছিলো মঞ্চে গাইবেন নগর বাউল জেমস।

ঠিক রাত ৯ টা ২০ মিনিটে মঞ্চে উঠেন তিনি। শুরু হয় মূল আর্কষণ। লেইজ ফিতা গান দিয়ে শুরু করেন নগর বাউল। তারপর একে একে তিনি শুরু করেন পদ্ম পাতার জল, গুরু ঘর বানাইলা কী দিয়া, তোর প্রেমেতে অন্ধ হলাম, কানামাছি, ওই আকাশে লুকিয়ে আছে, মীরা বাই, আমি তারায় তারায় লটিয়ে দিবো ও আসবার কালে আসলাম একাসহ জনপ্রিয় সব গানগুলো। এভাবেই টানা দেড় ঘণ্টা গান করেন নগর বাউল।

এ সময় হাজার হাজার দর্শক নাচে-গানে মাতিয়ে তোলেন পুরো কলেজ প্রাঙ্গন। সত্যিই জেমস’র নামে ও গানে এখনোও অজ¯্র তরুন-তরুনী নিজেকে হারিয়ে ফেলেন । গানের জেমস যেনো এক মুগ্ধতার নাম। ঘড়িতে তখন প্রায় পোনে ১১ টা টানা দেড় ঘণ্টার মতো গাইলেন জেমস। তবুও মন ভরছেনা দর্শকদের।

অঘোষিত না হলেও আন্দাজ করা গেলো এটাই তার শেষ গান। দর্শকদের চিৎকার আর অনুরোধে গেয়ে উঠেন পাগলা হাওয়া। শীতের রাতে সবার মাঝে এ যেন উষ্ণতা ছড়িয়ে দিলেন। আর এই উষ্ণতা নিয়ে ঘরে ফেরেন তরুন-তরুনীর দল। যাওয়ার আগে জেমস তার স্বভাব জাত ভঙ্গিতে বলেন যান বেঁচে থাকলে আবার দেখা হবে।