শার্শায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ, অবশেষে মামলা

যশোর প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৮ বছরের এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার সকালে ভিকটিম বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেটি তদন্তের পর বৃহষ্পতিবার সকালে শার্শা থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। যার মামলা নং ১৩, তারিখ-১৯/১২/২০১৯।

মিথ্যা প্রলোভনকারী ধর্ষক- মোনায়েম হোসেন মুন্না (২৬) সে শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সামটা গ্রামের শাহাজান কবিরের বকাটে ছেলে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সামটা গ্রামের বকাটে মোনায়েম হোসেন মুন্না একই গ্রামের কলেজ পড়ুয়া তাহেরা খাতুন হীরাকে বিগত কয়েক মাস আগে বাগআঁচড়া কলেজে যাওয়া-আসার পথিমধ্যে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে তাদের দু’জনার সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে উঠে। মুন্না তাহেরাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক মাস যাবত শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে।

এক পর্য়ায়ে তাহেরা খাতুন মুন্নাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু বরাবরই তার প্রস্তাব প্রত্যাক্ষণ করে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন লম্পট মুন্না। পরে উপায়ন্তর না পেয়ে বাদী তাহেরা খাতুন মঙ্গলবার শার্শা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে তাহেরার মা কান্না জড়িত কন্ঠে আকুতি করে বলেন, আমার মেয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে মুন্না আমার মেয়েকে একাধীকবার ধর্ষণ করেছে। এখন বিয়ে করতে চায়না তাই কোন উপায়ন্তর না পেয়ে আমরা থানায় মামলা করেছি।

১৮ ডিসেম্বর তাহেরা খাতুন হিরা বিয়ের দাবিতে ছেলে মুন্নার বাড়িতে এসে হাজির হয়। সারা রাত্রি মুন্নার বাড়ির সামনে অবস্থান করেন। এতেও মুন্না ও তার পরিবারের কেউ সামান্যতম সহানুভূতিও প্রকাশ করেনি। ১৯ ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে শার্শা থানার পুলিশ তাহেরা খাতুন হিরাকে প্রতারক মুন্নার বাসা থেকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল রিপোর্ট করার জন্য পাঠিয়েছে।

এ ব্যাপারে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান উক্ত বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কিশোরীকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। এবং এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।