লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু

করোনা ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু করেছে লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ। মেক্সিকো, চিলি, কোস্টারিকায় ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি মিলেছে। আর্জেন্টিনায় শুরু হয়েছে রাশিয়ার স্পুটনিক ফাইভের প্রয়োগ। ফাইজারের পর এবার মডার্নার করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে কানাডা। এদিকে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে চীনের ভ্যাকসিন পৌঁছাচ্ছে তুরস্কে। প্রাথমিক পরীক্ষায় এই টিকা ৯১ শতাংশ কার্যকর বলে প্রতিবেদন দেয় আঙ্কারা।

করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরই অবস্থান লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ। এমন পরিস্থিতিতে মহামারি মোকাবিলায় দ্রুত ভ্যাকসিন প্রয়োগের লক্ষ্যে কাজ করছে এসব দেশের সরকার। মেক্সিকো, চিলি ও কোস্টারিকায় অনুমোদন মিলেছে ফাইজারের টিকা প্রয়োগের। এরইমধ্যে ৩ কোটি ৪০ লাখের মধ্যে কয়েক হাজার ডোজ হাতে পেয়েছে মেক্সিকো।

বৃহস্পতিবার ১০ হাজার ডোজের প্রথম চালান পৌছেছে চিলিতে। আগামী সপ্তাহে পৌঁছাবে আরো ১০ হাজার। ফাইজারের কাছ থেকে ১ কোটি ভ্যাকসিন কেনার চুক্তি করেছে দেশটি।

আর্জেন্টিনায় চলছে রুশ ভ্যাকসিন দেয়ার কাজ। এ মাসের মধ্যে ৩ লাখ নাগরিককে টিকা কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা সরকারের। ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেয়া হবে ১ কোটি নাগরিককে। রাশিয়ার ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হয়েছে সার্বিয়াতেও। নাগরিকদের মাঝে টিকার গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে প্রথম এই ভ্যাকসিন নেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রে ১০ দিনে ১০ লাখের বেশি মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র সিডিসি। তবে এই সময়ে টিকা গ্রহণের যে লক্ষমাত্রা সরকার নির্ধারণ করেছিল তা পূরণ হয়নি বলে জানায় তারা। যদিও টিকা কার্যক্রমকে আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

এদিকে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের তথ্য প্রকাশ হওয়ায় করোনার টিকার কার্যকারিতা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সিএনএনের এক প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে অনেকে টিকা নেয়ায় আগ্রহ হারাচ্ছে।

তবে এখনই নিরাশ না হওয়ার পরামর্শ গবেষকদের। তাদের দাবি, ধরন ভিন্ন হলেও একই উৎস থেকে আসায় উভয় ভাইরাসের ক্ষেত্রেই ভ্যাকসিন কার্যকর হবে।