লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে স্বেচ্ছাশ্রমে স্বপ্নেরর সেতু নির্মাণ

জহির উদ্দিন মাহমুদ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে স্থানীয়দের অর্থ ও স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করা হয়েছে ৬০০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি সাঁকো। স্থানীয় শতাধিক যুবক কাঠ-বাঁশ দিয়ে ২৭ দিনে ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা ব্যয়ে সাঁকোটি নির্মাণ করেন। সাঁকোটির নামকরণ করা হয়েছে ‘স্বপ্নের সেতু’। গ্রামবাসী, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকার জেলে-কৃষকদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাশ্রমে এ সাঁকো নির্মাণ করা হয়। এতে বছরের পর বছর চরম দুর্ভোগে থাকা শত শত পরিবার পেয়েছেন সাময়িক স্বস্তি। তবে তারা স্থায়ীভাবে এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে চান। ‘স্বপ্নের সেতু’ নামের সাঁকোটি বুধবার বিকেলে উদ্বোধন করা হয়। যারা স্বেচ্ছাশ্রমে এটি নির্মাণ করেছেন তারাই স্থানীয়দের নিয়ে ফিতা কেটে সাঁকোটি উদ্বোধন করেন। এ সময় সাঁকোটিকে নানা সাজে সাজানো হয়।
উপজেলার পাটওয়ারিরহাট ইউনিয়নের জারিরদোনা খাল ভেঙে চলাচলের রাস্তা (বেড়িবাঁধ) বিলীন হয়ে যায়। যে কারণে গত ৬ বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে স্থানীয়দের। দীর্ঘদিন থেকে এমন পরিস্থিতির মধ্যে কাটলেও নজরে আসেনি কারো। উপায় না পেয়ে নিজেরাই নিজেদের চলাচলের জন্য সাঁকোটি নির্মাণ করেন। পাটওয়ারিরহাট উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় সেখানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। বাঁধের ওপর দিয়ে পাটওয়ারিরহাট-খায়েরহাটে আসা-যাওয়া। খাল পাড়ের ঐ বেড়িবাঁধটি ভেঙে গেলে চরম দুর্ভোগে পড়েন এলাকাবাসী। এদিকে চলাচলের রাস্তা না থাকায় কৃষকরা তাদের উত্পাদিত কৃষিপণ্য বাজারে তুলতে পারেন না। শিক্ষার্থী যেতে পারে না স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায়। বর্ষা এলেই গৃহবন্দি হয়ে পড়েন এলাকাবাসী।
এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় কমলনগর স্টার ক্লাব, স্টুডেন্ট ছাত্র সংসদ, জুনিয়র একতা সংঘ, স্টার ক্লাব ও নিউ তারুণ্য তরঙ্গ সংসদ নামে পাঁচটি সংগঠন সাঁকো নির্মাণের উদ্যোগ নেন। পরে তারা ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে টাকা, কাঠ ও বাঁশ সংগ্রহ করে সাঁকোটি নির্মাণ করেন।
কমলনগর স্টার ক্লাবের সহসভাপতি মো. মাকছুদুর রহমান বলেন, বছরের পর বছর দুর্ভোগ লাঘবে এলাকার যুবকরা তাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন করেছে। যে কারণে এ সাঁকোর নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্বপ্নের সেতু।