লক্ষনখোলা রাস্তার দাবিতে এলাকাবাসী সোচ্চার

বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরের নাসিক ২৫ নং ওয়ার্ডে লক্ষণখোলা মাদ্রাসা সড়ক দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচলে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা থামছে না। এলাকার উত্তেজনা নিরসনে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নাসিক ইঞ্জিনিয়ার ইসমাইল হোসেন সরে জমিনে পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন উপস্থিত থেকে নাসিক ইঞ্জিনিয়ারকে রাস্তার বেহাল অবস্থা ঘুরে দেখান। এলাকাবাসী জানান, নাসিক ২৪ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত এসিআই ফ্লাওয়ার মিল ও ২৫ নং ওয়ার্ডে অবস্থতি সোহাগপুর টেক্সটাইল মিলের অতিরিক্ত মাল বোঝাই গাড়ি চলাচলের ফলে রাস্তা ভেঙ্গে বড় বড় গর্তে পরিনত হয়েছে সেই সাথে বেড়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। দাশেরগাঁও বরাবর রাস্তাটি মিলের বরাবর থাকার পরও গাড়িগুলি এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। এলাকাবাসীর দাবি এ সকল গাড়ি দাশেরগাঁও বরাবর রাস্তা দিয়ে চলাচল করলে তাদের কোন আপত্তি নেই। এ ব্যপারে কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন বলেন, আমি জনগণের দাবি সাথে একমত। যেহেতু রাস্তাটি ভাড়ি গাড়ি চলাচলের অযোগ্য তাই এ রাস্তা দিয়ে এ সকল গাড়ি না চালানোর জন্য নাসিক মেয়রের প্রতি ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি রাখছি। এ ব্যপারে নাসিক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ২৫ নং ওয়ার্ডের মাদ্রাসা সড়কটি ভাড়ি গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত নয়। আমি যতক্ষন পরিদশর্নে ছিলাম ততক্ষন দেখেছি এ রাস্তা দিয়ে ৩০ থেকে ৪০ টন ওজনের গাড়ি চলাচল করছে। এত ভাড়ি চলাচলের রাস্তা এটা নয়। এ রাস্তা দিয়ে সর্বোচ্চ ১০ টন ওজন বহন করতে পারবে। ভাড়ি চলাচলের ফলে রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। আমরা নাসিকের পক্ষ থেকে ২টি কোম্পানীর সাথে আলোচনা করবো। তিনি আরো বলেন, রফতানি সচল রাখার জন্য ভাড়ি গাড়িগুলি যদি মদনগঞ্জ-মদনপুর হাইওয়ে সড়কে রেখে ছোট গাড়ি দিয়ে মাল এনে বহন করে তবে রাস্তার ক্ষতি হবে না সেই সাথে মাল রফতানিরও ব্যঘাত ঘটবে না। রাস্তার সাথে গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের যেভাবে ক্ষতি হচ্ছে তাতে এলাকাবাসীর দাকি যুক্তি ও ন্যায় সংঘত। নাসিক মেয়র জনগণের পাশে আছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আক্তার হোসেন, রুহুল আমিন, স্বপন, বাবু, শাহীন, মাসুদ, টিটু, নূর হোসেন, সালেহ আহাম্মদ, জসিম উদ্দিন, হোসেনুর রহমান প্রমুখ। গত ৩০ জুন এলাকাবাসী নাসিকের এই রাস্তা রক্ষার জন্য মাদ্রাসা স্ট্যান্ডে অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন পালন করে।