অনলাইন ডেস্ক: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া নিজের অপরাধ স্বীকার করার পরই কেবল প্যারোলের জন্য আবেদন করতে পারেন। তার মুক্তি নিয়ে বিএনপি নিজেরাই দ্বিধান্বিত। রাস্তায় প্রচারণা চালিয়ে তার মুক্তি হবে না। জেল থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হতে পারে আইনি ব্যবস্থা।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ ময়দানে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে যোগদানের পর তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন। অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের কর্মচারীদের জন্য এই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া শুধু প্যারোলে মুক্তির আবেদন করলেই সরকারের বিবেচনা করার সুযোগ থাকে। এছাড়া তাকে মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের কোনও এখতিয়ার নেই। বিএনপি নেতারা প্রতিদিন বেগম জিয়ার জামিন নিয়ে কথা বলেন। আর বলেন, সরকার বাধা দিচ্ছে।
এসময় তিনিপ্যারোলে মুক্তির বিষয়ে বলেন, প্যারোল হচ্ছে তার অপরাধ ও শাস্তি মেনে নিয়ে মুক্তির আবেদন। তবে এখন পর্যন্ত খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে প্যারোলের আবেদন করা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া কোনো রাজনৈতিক বন্দি নন, তিনি দুর্নীতির দায়ে সাজা ভোগ করছেন। এবং বাংলাদেশে আইন ও আদালত স্বাধীন। সুতরাং তাকে জামিন পেতে হলে আদালতের মাধ্যমেই পেতে হবে। বিএনপি আইন আদালতের তোয়াক্কা করেন না, কিন্তু সবাইকেই আইন মেনে চলতে হয়।
ড. হাছান আরো বলেন, বিএসএমএমইউতে যে চিকিৎসা দেয়া হয় তা বিশ্বমানের। এছাড়া খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার পছন্দের গৃহপরিচারিকাকে রাখা হয়েছে, সার্বক্ষণিক নার্স রয়েছে। নিয়মিত তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও তাকে সময়ে সময়ে পরীক্ষা করেন। সুতরাং খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপির কথাগুলো জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা ছাড়া কিছু না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অগ্রণী ব্যাংকের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সামস-উল ইসলামসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।