এই আমার দেশ ডেস্ক
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ান সেনাদের উপস্থিতির প্রেক্ষাপটে ইউরোপের মাথা ব্যথার বড় কারণ হয়ে উঠেছে গ্যাস সরবরাহ।
ইউরোপের দেশগুলোর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িঘরে জ্বালানি চাহিদা পূরণের সবচেয়ে বড় উৎস রাশিয়ার গ্যাস। নতুন করে যুদ্ধের মেঘ জমতে শুরু করায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এখন হন্যে হয়ে ইউরোপে জ্বালানি সরবরাহের বিকল্প খুঁজছে বলে জানানো হয়েছে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
শীতকালে সবচেয়ে ঠাণ্ডার সময়টার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে ইউরোপ। এ মুহূর্তে বিকল্প জ্বালানির উৎস খুঁজে পাওয়া একটি কঠিন কাজ। এ কারণেই পুরো মহাদেশের জন্য জ্বালানির উৎস নিয়ে এমন উদ্বেগ।
এদিকে, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ান সেনাদের উপস্থিতি নিয়ে উত্তেজনে ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এর মধ্যেই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি উন্মুক্ত বৈঠক ডেকেছে যুক্তরাষ্ট্র। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এতে রাশিয়ার আচরণকে ‘হুমকিমূলক’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে বিপুলসংখ্যক রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে মস্কোর সঙ্গে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোর উত্তেজনা চলমান। কিয়েভ ও পশ্চিমা দেশগুলোর আশঙ্কা, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের এই প্রদেশে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা করছে মস্কো।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মস্কো। চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক ডাকার কথা জানাল যুক্তরাষ্ট্র।
লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড তার বিবৃতিতে জানান, ইউক্রেনের সীমান্তে ১ লাখের বেশি রুশ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। কিয়েভকে নিশানা করে অন্যান্য অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে রাশিয়া। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও জাতিসংঘ সনদের প্রতি স্পষ্ট হুমকি তৈরি করছে।
তিনি জানান, ১৫ সদস্যবিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদকে চলমান পরিস্থিতি অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। রাশিয়া যদি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায়, তবে আন্তর্জাতিকভাবে করণীয় কী হতে পারে, তা নির্ধারণ করতে হবে।
নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের একটি রাশিয়া। পরিষদে উত্থাপিত যেকোনো প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ার অধিকার রয়েছে দেশটির।