রাজশাহীর তাহেরপুরের তিনশত বছরের গাছটি এখনো নাম অচিনা

নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী তাহেরপুর রাজবাড়ী ডিগ্রী কলেজ চত্বরে তিনশত বছরের একটি বৃক্ষের নাম আজো অজানা। নাম না জানার কারনে আজো এই গাছটি অচিন বৃক্ষ নামেই এলাকায় পরিচিতি লাভ করেছে।

দেশের বারো ভূঁইয়ার অন্যতম, দূর্গাপূঁজার প্রবর্তক রাজা কংশ নারায়ণ রায়ের রাজবাড়ীর অনতিদুরে কলেজ মসজিদ সংলগ্ন বিশালাকৃতির এই গাছটির নাম এখনো কেউ শনাক্ত করতে পারেননি। নাম না পাওয়ার কারনে এলাকাবাসী এটিকে অচিন বৃক্ষ বলে নামকরন করেছে। সুধিসমাজের মতে অচিন গাছটির বয়স হবে আনুমানিক তিনশ বছর। গাছটি এখন দর্শনীয় স্থান হিসেবে এলাকবাসির কাছে পরিচিত।

১৯৯১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিভাগের প্রফেসর ড. নাদিরুজ্জামান সরেজমিনে এখানে এসে অনেক পরীক্ষা- নিরীক্ষা  করে বিরল প্রজাতির এই গাছটির সঠিক নাম বের করতে পারেননি। তবে একই বিভাগের প্রফেসর ড.এবনে গোলাম সামাদ জাতীয় পর্যায়ে উদ্ভিদ গবেষকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি এটিকে ডোমর গোত্রের গাছ বলে অভিহিত করলেও তিনি গাছটির সুনিদিষ্ট কোন নামকরন করতে পারেননি।

এবিষয়ে তাহেরপুর পৌরসভার একাধিক প্রবিন ব্যাক্তিরা জানান, গাছটির সঠিক নাম এখনো বের করা যায়নি। তবে এর ফল ও ফুল বট গাছের মত, যা পাখিদের খুব প্রিয় খাবার। কলেজ কর্তৃপক্ষ গাছটির চারপাশ পাকাকরনের পর বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন গুলো এখানে বসে মিটিং করেন। এবং আস্তে আস্তে এলাকাবাসির কাছে অচেনা গাছটির গুরুত্ব বেড়ে যায়।তাই কলেজ ক্যাম্পাসে এটি অচিনতলা নামে পরিচিত লাভ করেন।

জানাগেছে,১৯৬৭ সালে রাজা কংশ নারায়নের ধ্বংস স্তপে তাহেরপুর কলেজ প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকেই অদ্যবধি গাছটির পরিচর্যা করে আসছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। নানা সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে গবেষকরা এখানে এসেছেন গাছটির সঠিক নাম বের করার জন্য। কিন্তু পৃথিবীর কোন প্রান্তরে এর বংশধররা লুকিয়ে আছে সেটিও কেহ বের করতে পারেননি এখানো।

সম্ভবত রাজা কংশ নারায়নের কোন বংশধরেরা গাছটি রোপন করেছিলেন। এলাকার অনেক প্রবীণ ব্যক্তি আফসোস করে বলেন হায়রে গাছ তুই নাম নিয়ে জন্মালিনা কেন। নাকি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মৃত্তিকার এই বীর সন্তান নিজেই কোন একদিন চিৎকার করে বলবে আমার নাম হলো কিৃ কি কি।